Ranieeta Dash Lost Family Member: নতুন বছরের শুরুতেই একের পর এক খারাপ খবর। ২ জানুয়ারি ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়ে হেরে গেলেন টলিউড পরিচালক অরুণ রায়। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই আরও এক দুঃসংবাদ।
কাছের মানুষকে হারালেন বাংলা মেগার অত্যন্ত পরিচিত মুখ রণিতা দাস। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রিয় মানুষকে জড়িয়ে পুরনো ছবির সঙ্গে আবেগপ্রবণ পোস্ট শেয়ার করেছেন। বছরের শুরুতেই পরিবারে শোকের ছায়া। কাকে হারালেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রণিতা? দিদাকে হারিয়ে ভেঙে পরেছেন অভিনেত্রী।
দাদু-দিদা সকলের কাছেই খুব প্রিয়। তাঁদেরকে জড়িয়ে নাতি-নাতনিদেরও অনেক সুন্দর মুহূর্ত থাকে। রণিতাও সেই দলেরই একজন। সোশ্যাল মিডিয়ায় দিদার সঙ্গে ছবি পোস্ট করে লিখলেন, '২২ দিনের অদম্য লড়াইয়ের অবসান। ১২ ডিসেম্বর থেকে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন আমার দিদা। ১৭ ডিসেম্বর থেকে মোট ১৮ দিন ভেন্টিলেশনে ছিলেন। আমার দিদার নাম নিরুপমা রায়। আজ আমাদের সকলকে ছেড়ে চলে গেলেন। দিদার আত্মার শান্তি কামনা করি '।
রণিতা আরও লেখেন, 'ক্রিসমাস, আমার জন্মদিন, নতুন বছর প্রতিটি বিশেষ দিনে দিদা আমাদের সঙ্গে ছিলেন। মুখে কথা বলতে না পারলেো মাথা নাড়িয়ে আমাদের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। যখন আমি হাসপাতালের বিছানায় দিদার হাতটা ধরেছি তখন ছোটবেলার সেই পুরনো দিনের কথা মনে পড়ছিল। যখন দিদা আমাকে তাঁর স্নেহের চাদরে মুড়িয়ে রাখতেন। ছোটবেলায় এভাবেই আমার হাতটা দিদা ধরে রাখতেন। তাঁর নিঃস্বার্থ ভালবাসার সেই দিনগুলোর কথা আজ বড্ড মনে পড়ছে '।
অভিনেত্রীর সংযোজন, 'আমি দিদাকে খুব মিস করব। কিন্তু, আমি আমি জানি দাদু দিদার জন্য অপেক্ষা করছেন। ওখানে গিয়ে দিদা শান্তি পাবেন এটা আমি নিশ্চিত। রায় পরিবারের উত্তরাধিকার আমার মাধ্যমেই বেঁচে থাকবে। দাদু-দিদার মতো এই রকম দুজন ভাল মনের মানুষের নাতনি হতে পেরে আমি গর্বিত'।
দিদা-দাদুর উদ্দেশে রণিতা আবেগতাড়িত হয়ে লিখেছেন, 'আমি সর্বদাই তাঁদের একমাত্র 'বাবু' আর 'দাদু' হয়ে থাকব। আমি জানি আমার অভিভাবকরা দূর থেকেই আমাকে রক্ষা করবেন। আমার সঙ্গে সবসময় তাঁদের আশীর্বাদ থাকবে '।
রণিতা সকলের কাছে আজও বাহামণি বলেই বেশি পরিচিত। ইষ্টি কুটুম ধারাবাহিক শেষ হয়ে গিয়েছে বহুদিন। কিন্তু, সেই ধারাবাহিকে বাহার চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের মনে দাগ কেটেছিলেন রণিতা। বছরের শুরুতেই এই খবরে দুঃখপ্রকাশ করেছেন তাঁর ভক্ত থেকে পরিচিতরা।