কন্যাসন্তানরা কি বংশের উত্তরাধিকার নয়? পরিবারে পুত্রসন্তান না থাকলে বাপ-ঠাকুরদার বংশগত কারবার,-সম্পত্তি কিছুতেই তাঁদের অধিকার নেই? আমাদের সমাজে আজও এহেন প্রশ্ন ওঠে। আজও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতে কন্যাভ্রুণ হত্যার মতো ঘৃণ্য ঘটনা ঘটে। কিংবা কন্যা সন্তান জন্মানোর পরই তাকে মেরে ফেলা হয়। সমাজের পচনধরা মজ্জার সেসমস্ত প্রচলিত ধারণাতে কুঠারাঘাত করতেই জয়েশভাই রণবীর সিং আসছেন জোরদার বার্তা নিয়ে। মঙ্গলবার ট্রেলার মুক্তি পেতেই নেটদুনিয়ায় প্রশংসার ঝড়। সিনেমার এমন অভিনব বিষয়বস্তু যে দর্শকদের মন কেড়েছে, তা বলাই বাহুল্য।
'জয়েশভাই জোরদার' ছবিতে রণবীরকে দেখা যাবে এক ছাপোষা গুজরাতি ব্যক্তির ভূমিকায়। যার বাবা গ্রামের মোড়ল। ছেলেকে নিয়ে বেজায় চিন্তায় তিনি। কারণ, একে তো বাবার দায়িত্ব সামলাতে জয়েশ এখনও সরগর নন! উপরন্তু তাঁর কন্যাসন্তান। অতঃপর ভবিষ্যতে সেই পরিবারের রাশ কার হাতে তুলে দেবেন, তা নিয়ে কপালে ভাঁজ মোড়ল মশাইয়ের। জাঁদরেল বাবার ভূমিকায় দেখা যাবে বোমান ইরানিকে।
<আরও পড়ুন: ‘এখন থেকে বউমা আলিয়ার কথাতেই সংসার চলবে’, বড় ঘোষণা শাশুড়ি নীতুর>
মোড়ল-বাবার আক্ষেপ যে, তাঁর ছেলে জয়েশের কোনও পুত্রসন্তান নেই। তার জন্য কোনওরকম কসরত করতে বাদ রাখেননি তিনি। কখনও মন্দিরে গিয়ে হত্যে দিয়েছেন তো কখনও বা আবার ডাক্তার-বদ্যি। কিন্তু শেষমেশ যখন পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট আসে যে, পরিবারে আবারও মেয়ে সন্তান আসতে চলেছে, তখন আর মাথা ঠিক রাখতে পারেন না মোড়ল বোমান। বউমার গর্ভস্থ সন্তানকে হত্যা করতে লোক-লস্কর তৈরি করেন। স্ত্রী শালিনী পাণ্ডে আর মেয়েকে নিয়ে বাড়ি থেকে পালান জয়েশ রণবীর। এরপরই গল্পে মোড় আসে। কীরকম? বাকিটা জানতে হলে মে মাসের ১৩ তারিখ অবধি অপেক্ষা করতে হবে। কারণ সেদিনই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে 'জয়েশভাই জোরদার'।
কৌতূকরসের মোড়কে সমাজের জন্য এহেন গম্ভীর বার্তা নিয়েই গল্প বুনেছেন পরিচালক দিব্যাং ঠাক্কর। রণবীরের মায়ের ভূমিকায় দেখা যাবে রত্না শাহ পাঠককে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন