মুক্তির দিন কয়েকের মধ্যে বক্স অফিসে সেভাবে ঝড় তুলতে না পারলেও সিনে-সমালোচক থেকে দর্শকরা প্রত্যেকেই '৮৩' দেখে মুগ্ধ। পাশাপাশি কপিল দেবের ভূমিকায় রণবীর সিংয়ের লুক-অভিনয়ও বেজায় প্রশংসা কুড়িয়েছে। অনুরাগীরা শুভেচ্ছার জোয়ারে ভাসিয়ে দিয়েছেন অভিনেতাকে। আর '৮৩' রিলিজের পর দর্শকদের কাছ থেকে এত ভালবাসা পেয়েই আবেগাপ্লুত রণবীর সিং। প্রকাশ্যেই অঝোরে কেঁদে ফেললেন '৮৩' অভিনেতা।
রণবীরের মন্তব্য, আমি কখনও প্রকাশ্যে কাঁদি না। কিন্তু এবার আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম না। হয়তো এটা লকডাউনেরই প্রভাব। '৮৩' দেখে দর্শকরা যে ভালবাসা জানিয়েছেন, তার জন্য আমি আপ্লুত। আমার অভিনেতা হওয়াটা সত্য়িই মিরাকল। নাহলে দেখুন, আমার অভিনেতা হওয়ার কী এমন যোগ্যতা আছে? এমন সাফল্যের সুযোগই বা কোথায় ছিল? চোখের জল মুছতে মুছতে বলছিলেন অভিনেতা।
রণবীরের কথায়, তিনি জানেন না দর্শক-অনুরাগীদের কোন ভাষায় ধন্যবাদ জানাবেন। ইন্ডাস্ট্রিতে যখন স্ট্রাগলিং পর্ব কাটাচ্ছিলেন, এমনকী তাঁরাও ৮৩'তে রণবীরের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করছেন। জানালেন অভিনেতা নিজেই।
<আরও পড়ুন: দুর্ঘটনায় মারাত্মক জখম! ‘বচপন কা প্যায়ার’ খ্যাত সহদেব কেমন আছে? জানালেন বাদশা>
কপিলস ডেভিলসদের বিশ্বকাপ জেতার নেপথ্যের কাহিনিকেই বড়পর্দায় তুলে ধরেছেন কবীর খান। লর্ডসের মাঠে ভারত বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেই রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের সিনেম্যাটিক ভিউ পর্দায় দেখতে পেয়ে দর্শকরা যেন অতীতের স্বাদই পেয়েছেন।
তবে এই সিনেমা তৈরির নেপথ্যের অভিজ্ঞতাও কম কিছু নয়। কাস্টিং সেট করতেই কবীরের লেগেছিল ১৮-২০ মাস। ক্রিকেটারদের সঙ্গে শুধু চেহারার মিল নয়, আদতে তাঁরা বাইশ গজে ব্যাট-বল হাতে কতটা পারদর্শী, সেই বিষয়টির দিকেও খেয়াল রাখতে হয়েছে। প্রথমে পিচের পরীক্ষায় উতরে তারপরই অভিনয়ের জন্য অডিশন দিতে এসেছিলেন প্রত্যেকে। এমনকী, প্রাথমিকভাবে বাছাই পর্বের পরও ২ মাস শিক্ষানবীশ পর্বে রাখা হয়েছিল তাঁদের। তারপরও দু-চারজনকে বাদ দিতে হয়েছে। ৮৩-তে অভিনয় করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবদন্তী ২ ক্রিকেটারের ছেলেও! ম্যালকম মার্শাল ও গর্ডন গ্রিনিংজের ছেলেরা। হুবহু বাবার মতো দেখতে তাঁদের। এছাড়া, ক্লাইভ লিয়ডসের ছেলে জোয়েল গার্নারের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন