/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/01/ratna-2025-09-01-12-32-26.jpg)
কী এমন বললেন রত্না?
রত্না পাঠক শাহ এবং নাসিরুদ্দিন শাহ একসাথে কাটালেন বৈবাহিক জীবনের ৪৩ বছর। আন্তঃধর্মীয় এই দম্পতি জানিয়েছেন, তাঁদের বিয়ে নিয়ে বড় কোনও বিরোধিতার মুখে পড়তে হয়নি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রত্না জানালেন, চার দশকেরও বেশি সময় ধরে সম্পর্ক টিকে থাকার মূল রহস্য কী।
রত্নার ভাষায়, "বিয়ে টিকে থাকার জন্য সবচেয়ে জরুরি হলো ইচ্ছা আর বন্ধুত্ব। সাধারণ আগ্রহও অনেক সাহায্য করে। আমরা দু’জনেই একে অপরের সঙ্গে থাকতে চাইতাম, খুব বেশি। থিয়েটার ও সিনেমা নিয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিও ছিল এক। আমাদের সময়ে ব্যাপারটা তুলনামূলক সহজ ছিল। আজ যদি আমরা বিয়ে করতাম, হয়তো অনুমতি মিলত না। আমরা কেউই খুব ধার্মিক নই, তাই সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়েছিল।"
নাসির একসময় তাঁকে বলেছিলেন- "চল আমরা সম্পর্কটাকে কোনো সংজ্ঞায় না বাঁধি। স্বামী-স্ত্রী, প্রেমিক-প্রেমিকা- হতে হবে এমন নয়। দেখা যাক কোথায় পৌঁছাই।" রত্নার মতে, সেই দৃষ্টিভঙ্গিই তাঁদের সম্পর্কে স্বচ্ছন্দতা এনেছে। দু'জন একসাথে অভিনয়ও করেছেন- অমল পালেকরের পহেলি (২০০৫)-তে (কণ্ঠশিল্পী হিসেবে) এবং আব্বাস টায়ারওয়ালার জানে তু… ইয়া জানে না (২০০৮)-এ স্বামী-স্ত্রী চরিত্রে।
Mithun Chakraborty: 'বাবাকে নয়, নিজের প্রতিভাকেই ভরসা করি', অকপট মন্তব্য মিঠুন পুত্রের
অভিনেতা হওয়ার কারণ নিয়ে তাঁদের মধ্যে মতভেদও আছে। রত্না বলেন, "নাসিরের মতে, যদি মনে না হয় যে অভিনয় ছাড়া বাঁচা অসম্ভব, তবে অভিনেতা হওয়া উচিত নয়। আমি তেমনটা মনে করি না। আমি অভিনয় ভীষণ ভালোবাসি, গুরুত্ব দিয়ে করি, কিন্তু এটুকুই আমার জীবন নয়। এই নিয়ে আমাদের অনেক তর্ক হয়েছে।"
আরেক সাক্ষাৎকারে রত্না জানান, নাসিরের পরিবার তাঁদের বিয়ে সহজেই মেনে নিলেও তাঁর নিজের বাবা-মা প্রথমে দ্বিধায় ছিলেন। বাবা বিয়ের আগেই মারা যান, আর মা দিনা পাঠক ধীরে ধীরে নাসিরকে গ্রহণ করেন। নাসিরের প্রথম বিয়ে থেকে কন্যা হিবা শাহও মোটলি প্রোডাকশনে তাঁদের সঙ্গে কাজ করেছেন। রত্না-নাসিরের দুই ছেলে ইমাদ ও বিভান শাহ—দু’জনেই বর্তমানে অভিনয় ও সঙ্গীত জগতে সক্রিয়।
সম্প্রতি এক প্যানেল আলোচনায় রত্না স্বীকার করেন, একসময় স্বামীর ক্যারিয়ারের আড়ালে নিজের অবস্থান নিয়ে বিরক্ত ছিলেন। তবে এখন তিনি মনে করেন, তাঁদের দীর্ঘ বন্ধুত্বই সম্পর্কের সবচেয়ে বড় ভিত্তি। “এটি আমার জীবনের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর যাত্রা। ভেবেছিলাম না এত ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে বন্ধুত্ব এত দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। একসাথে কাজ করার কারণেই সেটা সম্ভব হয়েছে, আর এটিই আমাদের কাছে সবচেয়ে মূল্যবান।”