সত্য ঘটনা নিয়ে ছবি 'মিস কল'। তাই নিয়েই বেজায় ব্যস্ত পরিচালক রবি কিনাগি, যিনি গত দশকে বাংলা মেগা সিরিয়ালের দুনিয়া একা হাতেই পাল্টে দিয়েছিলেন। ফলে শুটিং ফ্লোরেই পাকড়াও করে শুরু হল কথা। মাঝে মাঝেই টিম মেম্বাররা জানান দিয়ে যাচ্ছিলেন, শট রেডি। কাজ করতে করতেই আড্ডা দিলেন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার সঙ্গে।
সোহম-ঋতিকার জুটি তো এখনও তেমন জনপ্রিয় নয়...
এই জুটি আগেও আমার ছবিতে (জিও পাগলা) কাজ করেছে। আসলে 'মিস কল' ছবিটার জন্য একটা নিষ্পাপ মুখ দরকার ছিল। যে বন্ধুর কথায় প্রভাবিত হয়ে মিস কল দেয়, আর সেটা সোহমের নম্বরে। এই নিয়েই গল্পটা এগোয়। জুটি হিসেবে একটা ফ্রেশনেস দরকার ছিল।
পুজো বা ক্রিসমাসে রবি কিনাগির ছবি দেখা যায় না। এর কোন বিশেষ কারণ আছে?
পুজোয় এমনিতেই ছটা-সাতটা রিলিজ হয়। সবাই ছবি তৈরি করে। তখন মারামারি করে কী হবে? ছবির বিষয় ভাল হলে যেকোনও সময় ছবি চলবে। তবে হ্যাঁ! ধরুন পুজোর আগে মুক্তি পাচ্ছে, তখনও আবার ব্যবসা করাটা মুশকিল।
মিস কল ছবির একটি দৃশ্যে সোহমকে শট বোঝাচ্ছেন রবি কিনাগি
রবি কিনাগি আবির-যিশুদের মতো অভিনেতাদের নিয়ে কাজ করছেন না কেন?
আমি কাউকে অ্যাপ্রোচ করি নি, কারণ সেরকম চিত্রনাট্য তৈরি করি নি। আর ওরা কাজ করবে না এটাও কখনও বলেনি। আমি চাই ইন্ডাস্ট্রির সকলের সঙ্গে কাজ করতে। আবির আমার ছবিতে একটা গেস্ট অ্যাপিয়ারেন্স করেছে। আর যিশুর কেরিয়ার তো তৈরি হতে দেখলাম। অবশ্যই কাজ করব। তবে মানুষ হিসেবে ভাল না হলে কাজ করব না।
বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে আগের তুলনায় কী বদল দেখতে পান আপনি?
এখন ভীষণ প্রতিভাবান, ইয়ং পরিচালকরা এসেছেন। তাঁরা ভাল কাজ করছেন। আর মাল্টিপ্লেক্সে বাংলা ছবি দেখানো তো বড় পদক্ষেপ। কারণ আজকাল আর সিঙ্গল স্ক্রিনে ঠিকঠাক দেখা-শোনা হয় না। তবে এটা দুটো দিক থেকেই, খরচ বেড়ে যাওয়ায় তাঁরা মেইনটেইন করতে পারেন না, আর সেটা না থাকলে দর্শক হলে যাবেন না। এক কথায় ইন্ডাস্ট্রি এখন 'কনটেন্ট ড্রিভেন'।
আরও পড়ুন, অকপট স্বস্তিকা: কলকাতায় এতবার পারিশ্রমিক চাইতে হয় যে মনে হয় ধার চাইছি
জিও পাগলার পর এই ছবিতে জুটি বাঁধলেন সোহম-ঋত্বিকা
আরও পড়ুন, শান্তিকেতনের সোনাঝুরি, খোয়াইয়ে ‘বেলাশুরু’
পুরোদমে শুটিং চলছে এই ছবির। পরিচালকের মতে, ২৬ দিনে শেষ হবে 'মিস কলের' শুটিং পর্ব। রবি কিনাগি বলেন, মানুষের আজকাল ধৈর্য, সময় দুটোই কম। তাই তিন ঘন্টার ছবি বানাতে হয় না। আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে মুক্তি পাবে 'মিস কল'।