বুধবার থেকেই তালা খুলে যাওয়ার কথা ছিল স্টুডিয়ো পাড়ার। কিন্তু আর্টিস্ট ফোরাম, চ্যানেল ও প্রযোজকদের বাদানুবাদে তা আর হল না। শুটিং শুরুর কয়েকঘন্টা আগে বদলে গেল ছবিটা। বন্ধ হয়ে গেল শুটিং। কিন্তু কেন। আর্টিস্ট ফোরাম ও প্রযোজক সংগঠন একে অপরকে দোষারোপ করে চলেছে। দোষারোপ ও পাল্টা দোষারোপে প্রকাশ্যে সংঘাত। এদিন বিকেল পাঁচটায় মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে বৈঠকে মিলল সমাধান। আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে শুটিং।
এত বিতণ্ডার পরও আগামীকাল থেকেই শুটিং শুরু হচ্ছে বলে খবর। প্রোডিউসরস গিল্ড, আর্টিস্ট ফোরাম, ইম্পা-সহ একাধিক সংগঠনের মধ্যে চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আর্টিস্ট ফোরামের পক্ষ থেকে অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায় জানালেন, ''এরকম পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে সুষ্ঠভাবে কাজ করতে গেলে অনেক মতবিরোধ হতে পারে। তবে সমস্যার সমাধান হয়েছে। সর্বসম্মতভাবে সমাধানসূত্র বার করতে পেরেছি। কয়েকলক্ষ মানুষের রুটি রোজগারের বিষয়, প্রত্যেকে প্রত্যেকের পাশে থাকব।''
আরও পড়ুন, আড়ালেই রেখেছিলেন! তিন বছর আগেই বিয়ে করেছেন মোনালি
শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ''বিষয়গুলি নিয়ে দ্বিমত ছিল আলোচনার মাধ্যমে তা মিটিয়ে নিয়েছি। কাল থেকেই শুটিং শুরু করছি। আমাদের একে অপরকে ছাড়া চলবে না। সমস্তটা এখন মিটে গিয়েছে। একটা বড় পরিবারে কিছু মতবিরোধ ছিল তা মিটে গিয়েছে।''
শঙ্কর চক্রবর্তী বললেন, ''স্বাস্থ্য বিমার ক্ষেত্রে অর্থ বন্টন যা ঠিক হয়েছিল তা সেভাবেই হবে। বিমার খাতে ৫০% দেবে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ, ৪০% দেবে প্রযোজকরা এবং ১০% দেবে বাকি কলাকুশলীরা।'' সমস্ত জট কাটিয়ে অবশেষে স্বস্তি টলিপাড়ায়।
আরও পড়ুন, শুরু হল না শুটিং, শিল্পীদের বিমা নিয়ে কাটেনি জট
প্রসঙ্গত, প্রযোজকদের সংগঠনদের পক্ষ থেকে সোশাল মিডিয়ায় একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছিল ৯ জুন রাতে। সেখানে লেখা হয়– ”চ্যানেল, ফেডারেশন ও প্রযোজকদের যৌথ উদ্যোগ ও সম্পূর্ণ সহযোগিতা থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র আর্টিস্টস ফোরামের ইচ্ছাকৃত আপত্তি থাকার কারণে আমরা কাল থেকে শুট শুরু করতে পারছি না। এমতাবস্থায় আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম যে যতদিন দেশে করোনা পরিস্থিতি থাকবে, ততদিন আমরা শুট শুরু করব না।”
করোনা পরিস্থিতি ঠিক না হওয়া পর্যন্ত শুটিং বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলেন প্রযোজকরা। কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয় আর্টিস্ট ফোরামকে। অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা ফোরাম বলে, অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে যাদের সামনে রেখে তাঁরা সারাবছর ব্যবসা করেন তাদের সামান্যতম স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার দায়ও তাঁরা নিতে রাজি নন। অথচ ফোরামের কোনও আর্থিক মুনাফা না থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র শ্যুটিংটা যাতে আটকে না যায় তার জন্য শিল্পীদের হয়ে জীবন বিমার ১০ শতাংশ প্রিমিয়ামের গুরুদায়িত্বও ফোরাম স্বেচ্ছায় ঘাড়ে তুলে নেয়।...কিন্তু তার পরেও শিল্পী কলাকুশলীদের প্রাণ বিপন্ন করেও তারা তাদের ব্যবসা চালিয়ে যেতে চান!’
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন