/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/03/riddhi-2025-09-03-18-09-02.png)
যা শোনালেন ঋদ্ধি...
'বকুলতলায় ভিড় জমেছে'- এই একটা গান হুলিগানিজমের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিল বাঙালির। এবং তাঁর সঙ্গে সঙ্গে মেলার গান হয়ে উঠল সকলের মনের খুব কাছের। অনির্বাণ ভট্টাচার্য এবং ব্যান্ড মেম্বারদের সবে মিলে যে আইকনিক আবহ সৃষ্টি করলেন একটা গানের মাধ্যমে- তা দারুণ। শুধু বাংলার না, বরং খেয়াল করলে দেখা যাবে ভারতের নানা জায়গায় সেই গান গেয়েছেন তারকারা।
তবে, হালফিলে এই হুলিগানিজম সৃষ্টি করেছে বিতর্ক। দারুণ আলোচনা এবং সমালোচনায় অনির্বাণ। কেন? তিনি তাঁর সাম্প্রতিক গানের মাধ্যমে যা শোনালেন, নাম করে করে রাজনৈতিক দলের তিন ঘোষকে হাসির পাত্র করলেন তাতে অনির্বাণের সাহস নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সেই প্রসঙ্গেই যখন মেলার গানের অন্যতম মেম্বার ঋদ্ধি সেনকে জিজ্ঞেস করা হল, তিনি সোজাসুজি বললেন, "এটা তো হওয়ার ছিল।"
তিনি বলছেন, "৭-৮ বছর ধরে হুলিগানিজম রয়েছে। ওদের অনেক গান রয়েছে। মেলার গান ছিল এমন একটা গান যেটা দিয়ে মানুষ জানবে ব্যান্ড প্রসঙ্গে। দলের সদস্যদের একটাই উদ্দেশ্য ছিল যে, লাইভ কনসার্টে মানুষ আসুক। থিয়েটার গ্রুপের ফেস্টিভ্যালে ওদের শো হয়েছিল। ওদের রিহার্সালে আমি গিয়েছিলাম। এবং তখন আমি বুঝতে পেরেছিলাম, ওরা যে শুধু গান গাওয়ার জন্য গাইছে বা বানাচ্ছে সেটা না, বিনোদনমূলক গানের যে কাঠামো সেটা যেমন আছেই, বা নিছক প্রেমের গান আছে কিন্তু তাঁর সঙ্গে সামাজিক চারপাশে ঘটে চলা ঘটনা নিয়েও ওরা গান বানায়। এবং তাঁর মধ্যে প্রাথমিকভাবে স্যাটায়ার মনে হলেও কিছুক্ষন পর মনে হবে এটা শুধু সেটা না। তাঁর মধ্যে গভীর তথ্য আছে। ওদেরকে গানের দল হিসেবে দাগিয়ে দেওয়া উচিত না। আমাদের জানাই ছিল একটা গান মানুষের কাছে পৌঁছে গেলে, তাঁরা যখন লাইভ কনসার্টে আসবে, সেটা ব্লাস্ট হবে।"
Hooliganism-Rudranil Ghosh Exclusive: তিন ঘোষের 'হুলিগানিজমে' রুদ্র রোষে অনির্বাণ!
বাংলা ব্যান্ড হিসেবে হুলিগানিজমকে দেখলে ঋদ্ধির গর্ব হয়। পরবর্তীতে, তিনি যে কোলাবেরশনে থাকবেন এও বললেন। এছাড়া তাঁকে বলতে শোনা গেল অনির্বাণের 'তিন ঘোষের' নাম নেওয়া নিয়ে। প্রকাশ্যে সকলের মাঝে দাঁড়িয়ে এই কাজ সহজ না। তিনি বললেন, "এরকম ঘটনা সাম্প্রতিক কালেও হচ্ছে। যে ধরণের সোশিও পলিটিক্যাল সিনেরিও, মা-বাবাদের কাছে শুনেছি আগেও হয়েছে আমরা দেখেও বড় হয়েছি। আমরা আমাদের স্বপ্নসন্ধানীতে সামাজিক বিষয়কে নিয়ে-রাজনৈতিক কিছু নিয়ে, মজা করে বা অন্যরকমভাবে প্রেজেন্ট করেছি। এবং সেটা কিন্তু যে যে সরকার থাকবে তাঁরা কারণ দিয়েই যাবে এরকম করার...( হাসি )।"
অনির্বাণের বক্তব্য নিয়ে কি আফসোস আছে ঋদ্ধির? তাঁর কি মনে হয় অভিনেতার নিজের গানের মাধ্যমে কাজ না করতে পারার বা ফেডারেশনের দাদাগিরি নিয়েও কিছু বলা উচিৎ ছিল? তাঁর কথায়, "ফেডারেশন তো ইন্ডিপেন্ডেন্ট বডি হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু, এক্ষেত্রে যে রাজ্যে রুলিং পার্টির কিছুটা হলেও অনুপ্রেরণা আছে ফেডারেশনে, তাঁদের বিরুদ্ধেই তো বলেছে। আমার বক্তব্য হচ্ছে, রুলিং পার্টির বাইরে তো কিছু না। যেকোনও সরকারের ক্ষেত্রেই দেখা যায় তাঁদের বিরুদ্ধে কিছু বললেই বন্ধ করে দেওয়ার ধুম লাগে। সরকারের তরফে লোক পাঠিয়ে দেখা হয়েছে নাটকে কী কী সংলাপ বলা হয়েছে। সবসময় নজরে রাখা হয়েছে। তাই, একটা কোনও বডিকে আলাদা করে মেনশন করার থেকে ওভারঅল বললেই ভাল। রাজনীতিকে আক্রমণ করাই তো কাজ।"