/indian-express-bangla/media/media_files/2025/05/16/5udKDYibdpgf2KKjFOhB.jpg)
রেগে আগুন ঋদ্ধি! যা বললেন... Photograph: (গ্রাফিক্সঃ অংশুমান মাইতি... )
Riddhi Sen - CM Mamata Banerjee: গতকাল সল্টলেকে চাকরিহারা শিক্ষকদের নিয়ে যা ঘটেছে, তারপর থেকে নানা সমালোচনা। যারা রাজ্যের শিক্ষাস্তরের স্তম্ভ, তাঁরা এখন নিজেদের সম্মান এবং চাকরি ফিরিয়ে নেবার জন্য রাস্তায় বসে আন্দোলন করছেন। শুধু তাই নয়, নিজেদের চাকরি ফেরানোর স্বার্থে তাঁদের সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে, বলা উচিত তাঁদের ওপর আঘাত হানা হয়েছে, সেটি ভয়ঙ্কর। পুলিশের লাঠিচার্জে জখম হয়েছেন অনেকেই।
এসএসসি মামলায় সুপ্রিম রায়দানে, ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল হয়ে যায়। যোগ্য অযোগ্য প্রার্থীদের বিভেদ করা সম্ভব হচ্ছে না, সেকারণেই পুরো প্যানেল বাতিল করা হয়। কিন্তু, তারপর থেকেই যত সম্ভব আলোচনা। বলা উচিত সমালোচনা। আর গতকাল যে ঘটেছে, তাতে বাংলার শিক্ষস্তরের যারা স্তম্ভ, তাঁদের এই অবস্থা দেখে বেশিরভাগই ধিক্কার জানিয়েছেন। বাদ পড়েননি ঋদ্ধি সেন ( Riddhi Sen ) নিজেও। তাঁর বাবাকে যদিও বা বুদ্ধিজীবী হিসেবেই কলকাতা শহরে দেখা হয়। কিন্তু, অভিনেতা এবার যা মন্তব্য করলেন সমাজ মাধ্যমে। তাতে তিনি সরকারকে ধিক্কার জানিয়েছেন।
পোস্টের শুরুতেই তাঁকে জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন নিয়ে কথা বলতে দেখা যায়। তাঁর সঙ্গে সঙ্গে যে রাজ্যে চাকরি নেই, মানুষ ঠিক করে খেতে পারছেন না, সেই রাজ্যের ভবিষ্যত থেকে শুরু করে, বাঙালির আবেগ দুর্গাপুজোর কার্নিভাল সব নিয়েই তিনি বক্তব্য রেখেছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধে তিনি বেশ কিছু ইস্যুকে নির্দেশ করলেন। তিনি বাংলার সংস্কৃতি নিয়ে ভাবতে পারেন, কিন্তু শিক্ষা নিয়ে নয়। তিনি সব জায়গায় যেতে পারেন, কিন্তু, রাজ্যের জরুরি অবস্থায় কিছুই খতিয়ে দেখতে পারেন না। ঋদ্ধির পোস্টে পরিষ্কার মাননীয়ার প্রতি তাঁর ক্ষোভ। তাঁর সঙ্গে সঙ্গে তিনি, এই রাজ্যের সেসব তারকাদের কথাও বলেছেন, যারা শাসকদলের পদলেহনকারী।
পড়ুন ঋদ্ধির পোস্ট:
"চাকরিহীন রাজ্যে জগন্নাথ ধাম বানিয়ে সেটা উদ্বোধন করতে যাওয়ার সময়ে আছে,বিজয়া সম্মিলনী,পুজো কার্নিভাল করার সময় আছে, রাতে বাংলা মেগা সিরিয়াল দেখার সময় আছে, চলচ্চিত্র উৎসবে মুম্বাইয়ের তারকাদের সাথে দেখা করার সময় আছে, বেসুরো গান গাওয়ার, মৃত শব্দের কবিতা লেখার আর সুবিধেবাদীতার রঙে ছবি আঁকার সময় আছে, স্বাস্থ্য কেন্দ্র হোক, শিক্ষা ব্যবস্থা বা বাংলা চলচ্চিত্রের সিনে ফেডারেশন, সমস্ত কর্মক্ষেত্রের শীর্ষ স্থানে চোর এবং গুন্ডাদের প্লেসমেন্ট দিয়ে তোলাবাজ রাজনীতির মার্ক শিট মনিটর করার সময় আছে, রাজ্যে শিক্ষার ভবিষ্যৎকে অতীত করে দিয়ে ডিলিট সম্মান নিতে যাওয়ার সময় আছে,টেলিসম্মান পুরস্কার বা মহানায়ক উত্তম কুমার পুরস্কার দিতে যাওয়ার সময় এবং ইচ্ছে আছে, শুধু রাজ্যের নাগরিকদের চাকরি কেড়ে নিয়ে তাদের রাগ, যন্ত্রণা এবং হতাশা বোঝার, দেখার আর শোনার সময় নেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর। চোর, গুণ্ডা এবং পদলেহনকারী তারকাদের জন্য আছে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সহিষ্ণুতা আর চাকরিহারাদের জন্য আছে পুলিশের নৃশংস আগ্রাসন, লাঠির বাড়ি । ধিক্কার মমতা বন্দোপাধ্যায়, তৃণমূল কংগ্রেস, কলকাতা পুলিশ । আপনারা ভীত কারণ আপনাদের পতনের সময় আসন্ন ।"