সোমবার বিশ্ববাংলা প্রাঙ্গনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাঁসখালি ধর্ষণ-কাণ্ড নিয়ে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। বলেন- “আপনি রেপ বলবেন, নাকি প্রেগনেন্ট বলবেন, না কি লাভ অ্যাফায়ার বলবেন… না কি শরীরটা খারাপ ছিল, নাকি কেউ ধরে মেরেছে? পুলিশকে বলেছি গোটা বিষয়টা জানাতে। শুনেছি, ছেলেটির নাকি মেয়েটির সঙ্গে লাভ অ্যাফেয়ার্স ছিল। ইজ ইট আ ফ্যাক্ট?…” রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় রাজমৈতিক মহল। নেটদুনিয়াতেও শোরগোলের অন্ত নেই। এবার সেই প্রসঙ্গেই প্রতিবাদী সুর ঋদ্ধি সেনের।
Advertisment
সৃজিত মুখোপাধ্যায়, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়রা অবশ্য আগেই মমতার এহেন মন্তব্যের প্রতিবাদ করে ফেসবুকে কড়া পোস্ট করেছিলেন। এবার সেই তালিকাতেই নয়া সংযোজন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা।
ঋদ্ধি সেনের মন্তব্য, "মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্ত্যব্য অত্যন্ত কদর্য এবং বিপজ্জনক। ক্রমশ বিকৃত হচ্ছে মানবিকতার চেহারা, এই ভয়ানক মন্তব্যকে তীব্র ধিক্কার জানাই। শেষ অবধি ক্ষমতা এবং রাজনীতি পিষে মেরে ফেলে সাধারণ মানুষের স্বর। ভোটের সংখ্যা পরিণত হয়ে লাশের সংখ্যায়। এরা প্রত্যেকে মাঠে নামার আগেই বিক্রয় করেছে নিজেদের চেতনা মেফিস্টোফিলিসের হাতে।"
প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগে রাজ্যের বিদ্বজ্জনেরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে খোলা চিঠি দিয়ে আর্জি জানিয়েছিলেন, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বাড়ন্ত হিংসা-হানাহানির ঘটনায় যেন উনি দৃষ্টিপাত করেন। বগটুই-কাণ্ডের পরই সেই চিঠি লেখা হয়েছিল মমতাকে। এবার হাঁসখালি ধর্ষণ-কাণ্ডে মমতার মন্তব্য শুনে হতভম্ব ঋদ্ধি। সৃজিতও একই কথা বলেছেন। জানিয়েছেন, "হাঁসখালি ধর্ষণ-কাণ্ড নিয়ে একেবারে আপত্তিকর, অসংবেদনশীল মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আমি বাকরুদ্ধ ও হতবাক।" স্বাভাবিকভাবেই সৃজিতের সুরে সুর মিলিয়েছেন নেটিজেনদের একাংশ। তাঁদের প্রশ্ন, একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হয়ে এরকম অসংবেদনশীল মন্তব্য কীভাবে করতে পারেন? কমলেশ্বরও পরোক্ষাভাবে কটাক্ষ করেছেন রাজ্য সরকারকে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
হাঁসখালি ধর্ষণ-কাণ্ডে মমতার মন্তব্যে বিরক্ত ঋদ্ধি! বলছেন, 'বিকৃত মানবিকতা'
‘ধর্ষণ নাকি লাভ অ্যাফেয়ার?’, প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর। ঋদ্ধি প্রতিবাদ করে বললেন…
Follow Us
সোমবার বিশ্ববাংলা প্রাঙ্গনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাঁসখালি ধর্ষণ-কাণ্ড নিয়ে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। বলেন- “আপনি রেপ বলবেন, নাকি প্রেগনেন্ট বলবেন, না কি লাভ অ্যাফায়ার বলবেন… না কি শরীরটা খারাপ ছিল, নাকি কেউ ধরে মেরেছে? পুলিশকে বলেছি গোটা বিষয়টা জানাতে। শুনেছি, ছেলেটির নাকি মেয়েটির সঙ্গে লাভ অ্যাফেয়ার্স ছিল। ইজ ইট আ ফ্যাক্ট?…” রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় রাজমৈতিক মহল। নেটদুনিয়াতেও শোরগোলের অন্ত নেই। এবার সেই প্রসঙ্গেই প্রতিবাদী সুর ঋদ্ধি সেনের।
সৃজিত মুখোপাধ্যায়, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়রা অবশ্য আগেই মমতার এহেন মন্তব্যের প্রতিবাদ করে ফেসবুকে কড়া পোস্ট করেছিলেন। এবার সেই তালিকাতেই নয়া সংযোজন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা।
ঋদ্ধি সেনের মন্তব্য, "মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্ত্যব্য অত্যন্ত কদর্য এবং বিপজ্জনক। ক্রমশ বিকৃত হচ্ছে মানবিকতার চেহারা, এই ভয়ানক মন্তব্যকে তীব্র ধিক্কার জানাই। শেষ অবধি ক্ষমতা এবং রাজনীতি পিষে মেরে ফেলে সাধারণ মানুষের স্বর। ভোটের সংখ্যা পরিণত হয়ে লাশের সংখ্যায়। এরা প্রত্যেকে মাঠে নামার আগেই বিক্রয় করেছে নিজেদের চেতনা মেফিস্টোফিলিসের হাতে।"
<আরও পড়ুন: ‘ধর্ষণ নাকি লাভ অ্যাফেয়ার?’, মমতার হাঁসখালি মন্তব্যে সৃজিতের কড়া পোস্ট, প্রতিবাদ কমলেশ্বরেরও>
প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগে রাজ্যের বিদ্বজ্জনেরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে খোলা চিঠি দিয়ে আর্জি জানিয়েছিলেন, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বাড়ন্ত হিংসা-হানাহানির ঘটনায় যেন উনি দৃষ্টিপাত করেন। বগটুই-কাণ্ডের পরই সেই চিঠি লেখা হয়েছিল মমতাকে। এবার হাঁসখালি ধর্ষণ-কাণ্ডে মমতার মন্তব্য শুনে হতভম্ব ঋদ্ধি। সৃজিতও একই কথা বলেছেন। জানিয়েছেন, "হাঁসখালি ধর্ষণ-কাণ্ড নিয়ে একেবারে আপত্তিকর, অসংবেদনশীল মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আমি বাকরুদ্ধ ও হতবাক।" স্বাভাবিকভাবেই সৃজিতের সুরে সুর মিলিয়েছেন নেটিজেনদের একাংশ। তাঁদের প্রশ্ন, একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হয়ে এরকম অসংবেদনশীল মন্তব্য কীভাবে করতে পারেন? কমলেশ্বরও পরোক্ষাভাবে কটাক্ষ করেছেন রাজ্য সরকারকে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন