Advertisment
Presenting Partner
Desktop GIF

"সরকারের উচিত সন্ধ্যেবেলা মদের দোকান খোলা রাখা"

''সরকারের রাজস্ব তোলার বড় উৎস মদ এবং এই পরিস্থিতে দেশের সব জায়গায় বেআইনিভাবে বিক্রি হচ্ছে মদ।''

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Rishi Kapoor hospitalized in Delhi

ঋষি কাপুর। ছবি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

শনিবার বর্ষীয়ান অভিনেতা ঋষি কাপুরের মন্তব্য, দেশের এই ২১ দিনের লকডাউনের প্রতি সন্ধ্যায় রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারদের লাইসেন্সযুক্ত মদের দোকানগুলি খুলে রাখা উচিত। এদিন টুইটে তিনি বলেছেন, সরকারের রাজস্ব তোলার বড় উৎস মদ এবং এই পরিস্থিতে দেশের সব জায়গায় বেআইনিভাবে বিক্রি হচ্ছে মদ।

Advertisment

প্রখ্যাত এই অভিনেতা লেখেন, ''মনে হয়, সরকারের সন্ধ্যেবেলা কিছু সময়ের জন্য মদের দোকানগুলি খুলে দেওয়া উচিত। আমাকে ভুলভাবে নেবেন না। করোনা আবহে নিশ্চয়তা নিয়ে বাড়িতে বসে রয়েছে। পুলিশ, ডাক্তার, সাধারণ মানুষ....প্রত্যেকের একটু অব্যহতি প্রয়োজন। কালোবাজারি তো এমনিই হচ্ছে।''

আরও পড়ুন, করোনা মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে অর্থসাহায্য মিমি-নুসরতের

তিনি আরও লেখেন, ''রাজ্য সরকারের ভীষণভাবে শুল্কের অর্থ প্রয়োজন। হতাশাকে কোনওভাবেই বিষণ্ণতা ছুঁতে পারাটা কাম্য নয়। প্রত্যেকে এমনিতেই যা মদ খায়, তাতে এটা আইনসিদ্ধ করে দেওয়ার মধ্যে কোনও ভান্ডামি নেই। পুরোটাই আমার ভাবনা।''

28, 2020

পরিচালক কুণাল কোহলি ঋষি কাপুরের বক্তব্যের সমর্থন জানিয়ে বলেছেন, ''কিংবা সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত খোলা রাখাই যায়। রাজস্ব রাজ্য এবং তাদের কর্মচারীদের জন্য ভীষণ জরুরি।''

যদিও ঋষি কাপুরের এই মন্তব্য মোটেই ভাল চোখে নেননি সোশাল মিডিয়ার ব্যবহারকারীরা।

আরও পড়ুন, করোনার থেকেও বড় সমস্যার কথা জানালেন অপর্ণা সেন

একজন উত্তরে লিখেছেন, ''সেই পরিবারগুলোর কী হবে স্যার, যেখানে মদের নেশার বুঁদ হয়ে স্বামী, স্ত্রীকে মারধর করে? এবং সেটা করার জন্য এই সময়টাও উপযুক্ত। আপনার কি মনে হয় লকডাউনের সময়ে এটা সঠিক পথ।''

অন্য এক নেটিজেনের মতে, ''সবকিছু থেকে ঊর্দ্ধে উঠে দেখুন। মানুষের কাছে বাঁচার জন্য নুন্যতম খাবারটুকুও নেই। বাস্তবটা জানার জন্য টেলিভিশন দেখুন এবং নিজের চারপাশটা একবার দেখুন। কী বোকা বোকা পরামর্শ। অদ্ভুত।''

এক টুইটারেতির বক্তব্য, ''ধনী মানুষেরা চিরকালই অন্য জগতে থাকেন এবং ভাবেন।''

সারা দেশে ২১ দিনের লকডাউন জারি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাব রুখতে এছাড়া উন্নত উপায় ছিল না। সারা বিশ্বে প্রায় ২৭০০০ মানুষের প্রাণ গিয়েছে এর প্রকোপে।

যদিও ঘটনাক্রমে ট্রোল হয়েছেন ঋষি কাপুর, মানুষ তো জিজ্ঞেস করে বসেছেন, তিনি বোধহয় পর্যাপ্ত পরিমাণে মদ তুলে রাখতে পারেননি।

আরও পড়ুন, ‘পশুরা করোনা ছড়ায় না, মানুষ কি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কথাও বোঝেন না’

ঋষি কাপুর পরবর্তীততে আরও একট টুইট করে লেখেন, ''যদি কেউ আমার দেশ এবং আমার জীবনযাপন নিয়ে কোনও বিরূপ মন্তব্য করেন, তাহলে সেই কমেন্ট মুছে দেব। আগেই থেকে সাবধান করে দিলাম। দয়া করে পরিস্থিতি থেকে বেরোতে সবাই সবাইকে সাহায্য করুন।''

প্রসঙ্গত, রোনা আবহে লকডাউনে গিয়েছে দেশ। তা নিয়ে ভালো-মন্দে সরব হয়েছে তারকা সহ দেশের সব মহলই।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

bollywood coronavirus
Advertisment