Rituparna Sengupta: গত বছর শেষের দিকে মাকে হারিয়েছেন টলি অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। একটানা প্রায় ২০ দিনের বেশি ভেন্টিলেশনে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করেছিলেন। শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ডা. অনির্বাণ নিয়োগির চিকিৎসাধীন ছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের মা নন্দিতা সেনগুপ্ত। ৭৭ বছরেও মৃত্যুর সঙ্গে অদম্য লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি। মাকে সুস্থ করে বাড়ি ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখেননি। তবুও, চোখের জলেই মা-কে বিদায় জানাতে হয়েছিল ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে। ২২ ফেব্রুয়ারি নন্দিতা সেনগুপ্ত-র জন্মদিন।
মৃত্যুর পর এটাই তাঁর প্রথম জন্মদিন। একইভাবে মাতৃহারা ঋতুপর্ণার কাছেও এটি প্রথম জন্মদিন! যেখানে রয়েছে শুধুই অতীতের সুন্দর স্মৃতি। যখন মাকে জড়িয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতেন। মায়ের জন্য কেক আনতেন। বার্থডে কেক কেটে মেয়েকে খাওয়াতেন। নন্দিতা সেনগুপ্তের সেই স্মৃতিমেদুর জন্মদিনের সুন্দর মুহূর্তগুলো আজ যেম মনের মাঝে ভিড় করে আসছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা গেল তারই প্রতিফলন। মায়ের জন্মদিনে পুরনো ছবি-ভিডিও শেয়ার করে আবেগে ভাসলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
মায়ের জন্মদিনে শুভেচ্ছাবার্তায় ঋতুপর্ণা লিখলেন, 'হ্যাপি বার্থডে মাম্মি। এটা তোমার প্রথম জন্মদিন যেদিন আমি তোমাকে একটু জড়িয়ে ধরতে পারলাম না। একটু আদর করে চুমু খেতে পারলাম না। তোমাকে আগলে জন্মদিনের কেক কেটে খাওয়ানোটাও হল না। তুমি শুধু আমার নিঃশব্দে বলা জন্মদিনের শুভেচ্ছাবার্তাটা শুনতে পাচ্ছ। তুমি তো আমাকে ছুঁয়ে দেখতে পারো। ইচ্ছ হলে সান্ত্বনাও দিতে পারো। তোমার অভাব ভীষণভাবে অনুভব করি। শুভ জন্মদিন মা। তোমাকে খুব ভালবাসি। তুমি যেখানেই থাকো জন্মদিনে সুস্থ থেকো, ভাল থেকো। খুব ভালভাবে জন্মদিন পালন করো। তুমি হাসিখুশি থেকো। তুমিই দুনিয়ার সেরা মা।'
প্রসঙ্গত, শিশুদিবসে দিন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস অনলাইনে ঋতুপর্ণা শৈশবে মায়ের সঙ্গে কাটানো স্মৃতিমেদুর মুহূর্তগুলো ভাগ করে নিয়েছিলেন। বলেছিলেন, মা ছিলেন আমার প্রিয় শিক্ষিকা। ছোটবেলায় প্রতিদিন মা আমাকে ভোর চারটের সময় ডেকে দিতেন। তারপর আমাকে পড়তে বসাতেন। মায়ের বাংলা লেখা ভীষণ ভাল। ওঁর থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি। আজও আমার মা কবিতা পাঠ করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম সহ অনেক কবির কবিতা পাঠ করেন। মানুষকে ভালোবাসা আমি মায়ের থেকে শিখেছি। মায়ের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। যাতে আবার আমি মায়ের বকুনি খেতে পারি'।