Rituparna Sengupta on Mahanayika: শুটিং ফ্লোরের পোশাক পরেই আমার মাসির বিয়েতে এসেছিলেন মহানায়িকাঃ ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত

Rituparna Sengupta - Suchitra Sen Birthday: মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের সঙ্গে এই প্রজন্মের অনেকেরই সাক্ষাৎ হওয়া সম্ভব হয়নি। কিন্তু, পর্দায় মহানায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করার সুযোগ বেশ কিছু নায়িকার হয়েছে। তাঁর মধ্যে অন্যতম, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।

Rituparna Sengupta - Suchitra Sen Birthday: মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের সঙ্গে এই প্রজন্মের অনেকেরই সাক্ষাৎ হওয়া সম্ভব হয়নি। কিন্তু, পর্দায় মহানায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করার সুযোগ বেশ কিছু নায়িকার হয়েছে। তাঁর মধ্যে অন্যতম, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।

author-image
Anurupa Chakraborty
New Update
Rituparna Sengupta on Suchitra Sen Birthday, actress revealed some stories

Rituparna on Mahanayika Birthday: ছোটবেলায় শোনা দারুণ সব গল্প তিনি জানালেন... Photograph: (গ্রাফিক্সঃ অংশুমান মাইতি )

Suchithra Sen Birthday: 'যদি পৃথিবীটা স্বপ্নের দেশ হয়..', হ্যাঁ! চোখে এক পৃথিবী প্রেম ছিল তাঁর। এহেন চাহনি আর দুটো নেই। তাঁর হাসি আর দৃষ্টিতেই বাঙালি মুগ্ধ হয়েছিল। আজ মহানায়িকার জন্মদিন। আজ সেই সুচিত্রার জন্মদিন, যাকে ইন্ডাস্ট্রির নায়করাও ভীষণ সম্মান দিতেন। আজ সেই রমার জন্মদিন, যিনি তাঁর স্পর্ধার কারণেই সুচিত্রা হয়ে উঠেছিলেন।

Advertisment

মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের সঙ্গে এই প্রজন্মের অনেকেরই সাক্ষাৎ হওয়া সম্ভব হয়নি। কিন্তু, পর্দায় মহানায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করার সুযোগ বেশ কিছু নায়িকার হয়েছে। তাঁর মধ্যে অন্যতম, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। আজ যখন তাঁকে মহানায়িকার প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে জিজ্ঞেস করা হল, তিনি সাফ বলেন, "ওরকম অভিনেত্রী দুই নেই। তাঁর পদচিহ্ন তো শুধু বাংলায় না, বরং সারা ভারতে রয়েছে। তিনি আমাদের আইকন। শুধু আইকন বললে ভুল হবে, তিনি বাংলা সিনেমার অন্যতম পথপ্রদর্শক।" ঋতুকে অচেনা উত্তম এবং মহানায়িকা - দুটিতেই তাঁর ভূমিকায় দেখা গিয়েছে।

অভিনেত্রী বললেন, "তাঁর সঙ্গে আমার দেখা করার সুযোগ হয়নি। কিন্তু, কিছুদিন আগেই রাইমা এবং মুনমুন দি ওদের বাড়িতে আমায় ডেকেছিলেন। উনার বাড়িতে বসে ডিনার করলাম। অনেকগুলো ছবি দেখলাম। বেশ কিছু সুন্দর সুন্দর ছবি দেখালেন ওরা। তারপর, মুনমুন দি আরেকটা কথা আমায় বললেন, "যে মা তোমায় খুব ভালবাসতেন। বলতেন, ও শুধু সুন্দরীই না, বরং দারুণ অভিনয় করতে পারে। এটা আমার কাছে বিরাট একটা পাওয়া।" উনাকে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে গিয়ে বেশ চাপের মুখে পড়তে হয়েছিল ঋতুপর্ণাকে। এমন একজন মানুষ, যিনি জাতীয় থেকে আন্তর্জাতিক সর্বত্রই নিজের লিগেসি এবং দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন, তাঁকে চিনতেন না এমন মানুষ খুব কম ছিলেন। ঋতু বলছেন, "আমাদের শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী যদি কেউ থেকে থাকে তবে তিনিই।"

আরও পড়ুন  -  Sudip-Preetha Divorce: দাম্পত্যের ১০ বছর পূর্তির আগেই বিচ্ছেদ! সুদীপের সঙ্গে ডিভোর্স ঘোষণা পৃথার, মুখ খুললেন অভিনেতা

Advertisment

যদিও বা আরেকটি বেশ মজার গল্প শেয়ার করলেন তিনি। তাঁর মেসোর সঙ্গে দারুণ বন্ধুত্ব ছিল সুচিত্রা সেনের। অভিনেত্রী বলেন, "আমি ছোটবেলায় গল্প শুনেছিলাম, আমার মেজো মেসোর খুব ভাল বন্ধু ছিলেন উনি। তো, মাসি এবং মেসোর বিয়েতে উনি এসেছিলেন। আমার মায়ের কাছে শোনা, যে তখন একটা অদ্ভুত পরিস্থিতি। উনি এসে দাঁড়িয়েছেন। নতুন বউকে কে দেখবে, সবাই তো তখন উনাকে দেখতে ব্যস্ত। সুচিত্রা সেন বলে কথা। 'ভালবাসা' বলে একটা ছবি করছিলেন তখন উনি। সেই শুটিং এর পোশাক পরেই এসেছিলেন।" এটুকু বলেই হাসতে শুরু করেন তিনি। পুরোনো অভিনেত্রীদের যে লীগেসি, সেটাকে সম্মান জানানোই তো আসল। সেকারণেই যে তাঁর নতুন ছবি বানিয়েছেন তিনি একথাও জানালেন। অভিনেত্রীর কথায়, "সমস্ত পুরোনো নায়িকারা তাঁদের নানা কাজের মধ্যে দিয়ে আমাদের অনেককিছু শিখিয়ে গিয়েছেন। পুরাতন ছবির মাধ্যমে তো আমরা সেই চেষ্টাই করছি। শর্মিলা ঠাকুর তো কিংবদন্তি। ওনাকে শ্রদ্ধা জানানোর একটা চেষ্টা মাত্র এই ছবি।" 

প্রসঙ্গে, মানুষ বলেন সুচিত্রা সেনের হাসি ছিল ভুবনভোলানো। এমনকি মাধুরী দীক্ষিত নিজেও বলেছিলেন আঁধি ছবির সেই হাসি কোনোদিন তিনি ভুলবেন না। আর অন্যদিকে, ঋতু জানালেন মহানায়িকার চোখের চাহনি তাঁর পক্ষে ভোলা সম্ভব না। বলছেন, "ওনার চোখ কথা বলত। আমি অনেক ছবিতে দেখেছি যে, যেখানে উনি সাইলেন্ট রয়েছেন, কিন্তু উনার চোখ সবকিছু বলে দিত। দ্বীপ জ্বেলে যাইয়ের ওই দৃশ্যটা, যেখানে তিনি বলছেন, 'আমি অভিনয় করতে জানি না। আমি অভিনয় করতে শিখিনি', উফ! সেই তাকিয়ে থাকা। তারপর, উত্তর ফাল্গুনীতে গরাদগুলোর দিকে যখন তাকিয়ে আছেন। আমি এগুলো ভুলতে পারি না। কী দারুণ..."

rituparna sengupta Suchitra Sen