Rituparna sengupta: ৯ জুন সোমবার সকালেই না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন পার্থ ঘোষ। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। টলি কুইন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত পার্থ ঘোষের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। 'তিসরি কৌন' ছবিতে পার্থ ঘোষের সঙ্গে হিন্দি ছবিতে কাজ করেছিলেন ঋতুপর্ণা। বিশিষ্ট পরিচালকের মৃত্যুতে মর্মাহত অভিনেত্রী। পার্থদার হাত ধরেই বলিউডে আত্মপ্রকাশ। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলায় পার্থ ঘোষের স্মৃতিচারণা করলেন লেডি সুপারস্টার ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
তিনি বলেন, 'পার্থদার হাত ধরেই আমার বলিউডে হাতেখড়ি। 'তিসরা কৌন' ছবিতে অভিনয় করেছিলাম। সেই সময় ছবিটা দারুণ হিট করেছিল। এনএন সিপ্পির মতো বিরাট প্রযোজনা সংস্থার ব্যানারে কাজের সুযোগ পাওয়াটা সত্যিই সৌভাগ্যের। চেন্নাইয়ে আমি একটা ছবির শুটিং করছিলাম। পার্থদা তখন মিঠুনদার সঙ্গে 'দালাল' ছবির শুটিং করছিল। আর ঠিক পাশের ফ্লোরেই আমার সিনেমারও শুট হচ্ছিল। সেই সময় আমার সঙ্গে ওঁর কথা হয়। আমাকে মেসেজ করে। মিঠুন দাও আমার সঙ্গে কথা বলে। কলকাতায় ফিরে আসার পর পার্থদা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে বলেছিল মুম্বই এলেই যেন আমি দেখা করি। এরপর আমি মুম্বই যাই, ফটোশুট হয়। পার্থদা, এনএন সিপ্পি প্রোডাকশন হাউজ 'তিসরা কৌন' ছবিটার জন্য আমাকে সিলেক্ট করে।'
প্রয়াত পরিচালক প্রসঙ্গে আরও বলেন, 'পার্থদা অনেক ভাল ছবি বানিয়েছে। ওঁর চলে যাওয়টা ইন্ডাস্ট্রির বিরাট ক্ষতি। একটা সময় পার্থদার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। মাঝে অবশ্য সেভাবে কথাবার্তা হয়নি। খবরটা পেয়ে এত খারাপ লাগছে...। উনি ভীষণ ভাল ও হাসিখুশি একজন মানুষ ছিলেন। হিন্দিতে কাজ করলেও বাংলার একটা মেলবন্ধন ছিল। 'অগ্নিসাক্ষী', 'দালাল', 'হান্ড্রেড ডেজ'-র মতো সুপারহিট ছবির পরিচালক। প্রত্যেকের সঙ্গে হৃদ্যতা ছিল। আমাকে খুব স্নেহ করতেন। আমি আরও দুটো ছবি করেছি। সেই সময় সবচেয়ে বড় বাজেটের ছবি ছিল 'সিঁদুরখেলা'। পার্থদা জনি লিভার, সুপ্রিয়া দেবীকে বলেছিলেন। রঞ্জিত মল্লিকও ওই ছবিতে অভিনয় করেছেন। কলকাতার প্রথমসারির তাবড় অভিনেতা-অভিনেত্রী এই ছবির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এরপর রহমত আলি-তে আরও একবার পার্থদার সঙ্গে কাজ করেছিলাম। ওঁর সঙ্গে অনেকগুলো ছবিতেই কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছিল। এত দ্বরাজ একজন মানুষ ছিলেন...।'
অভিনেত্রীর সংযোজন, 'বউদি আজ খুব কান্নাকাটি করছিলেন। ওঁর চলে যাওয়াটা সত্যিই খুব আকস্মিক। সকালে শরীরটা খারাপ লাগছিল। চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার আগেই সব শেষ। অনেক বাঙালি শিল্পীর সঙ্গে কাজ করেছেন। ওঁর মতো একজন প্রতিভাবান পরিচালকের চলে যাওয়াটা অত্যন্ত দুঃখের।'
আরও পড়ুন হাসপাতালে যাওয়ার পথেই মর্মান্তিক মৃত্যু, ৭৫-এ চিরনিদ্রায় বিশিষ্ট বাঙালি পরিচালক