'আমি আমার বিবেকের কাছে পরিষ্কার, আকাশের মত পরিষ্কার...', দ্রোহের কার্নিভালে নয়, বরং রেড রোডে, বিজয় বিসর্জন এর বিশেষ কার্নিভালে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে নিয়ে যে ধরনের আলোচনা...
অভিনেত্রীকে শাসকদলের অনুষ্ঠানে নাচতে দেখেই, এমনই মন্তব্য করেছিলেন সেদিন শ্যামবাজারের ঘটনা একদম তাহলে ঠিকই ছিল। আর নিজেকে নিয়ে এই ধরনের আলোচনা হতে দেখেই, ঋতুপর্ণা এবার কলম ধরলেন। অভিনেতা সংবাদমাধ্যমে লিখছেন...
যেদিন রেড রোডে পুজোর কার্নিভাল সেদিন তার দুই মিনিট দূরে, দ্রোহের কার্নিভাল। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে, আমার ছবি তোলা নিয়ে নানান কথা। যেটা বলতে চাই সেটা হল, কলকাতা পুলিশ বডিগার্ড লাইন আবাসিক দূর্গা পূজার কাছ থেকে আমার কাছে আবেদন আসে। তাদের সমর্থনেই আমি অনুষ্ঠানটি করেছিলাম। কারন এইটুকু ভুললে চলবে না রাজ্যে আমাদের প্রশাসনকে দরকার। একজন শিল্পী হিসেবে আমি এটা করতে পারি। শিল্পী সত্তাকে বাদ দিয়ে আমি কী করবো? আমি আমার বিবেক এবং বোধ কারো কাছে জমা রাখিনি। অনেক বছরে পরিশ্রম এবং অধ্যাবসায়, ফলেই আজকে আমি এই জায়গায় পৌঁছেছি।
আরও পড়ুন - Salman Khan: ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন ভাইজানের বাবা-মা, বিধ্বস্ত সলমনের গলা কেঁপে এল...
এ পাশাপাশি অভিনেত্রী সেদিনের দ্রোহ কার্নিভাল আন্দোলন এবং চিকিৎসকদের অনশনের বিষয়েও লিখেছেন। যে ঘটনা শেষ কিছু মাসে ঘটে গেছে তাদের জন্য তিনি পীড়িত এবং বিধ্বস্ত। অভিনেত্রী বলছেন, "কষ্ট এবং প্রতিবাদ আমার কাছে জমা রাখতে চাই। সবকিছু লিখতে হবে বা লোককে দেখাতে হবে এরম কোন অর্থ নেই। কিছু নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর থেকে বুঝতে পারি, তারা সবকিছু কি খারাপ চোখে দেখেন এবং মন্তব্য করতে ভালোবাসেন। আমি তাদের কোন সুযোগ দিতে চাই না। যেচে অপমানিত হতেও চাই না। আত্মসম্মান এবং মর্যাদা আমার জন্মগত অধিকার। আমার মা-বাবার সংস্কারই আমি বড় হয়েছি।"
অন্যের সমস্যায় ঝাপিয়ে পড়তে চান অভিনেত্রী। কী করে মানুষের উপকার করবেন সেই কথাই এখন থেকে ভাবতে চান। কাউকে প্রমাণ দিয়ে নয়, বরং ছোটবেলা থেকে যে শিক্ষায় মানুষ আছেন সেই শিক্ষাকে কাজে লাগাতে চান। অভিনেত্রীর কথায়, "অনেকেই পুজো বাতিল করবেন ভেবেছিলেন। কিন্তু অনেকের জীবিকা এবং অনেকের পরিবার তার উপর নির্ভর করে, তার পক্ষে এটা কোন দিনই সম্ভব ছিল না। অভিনেত্রী সোজাসুজি জিজ্ঞাসা করলেন?"
"অনুষ্ঠান আমাকে আমার নাচের দলের দিকে তাকিয়ে করতেই হবে। কারণ কর্ম না করলে কি করে বাঁচবো? কর্মই তো আমাদের ধর্ম।"