গতকাল রাত থেকেই, টলিপাড়ার মন ভালো নেই। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, শ্যামবাজারে রাত দখল আন্দোলনে গিয়ে যে হেনস্থার শিকার হয়েছেন, তাতে যেন নারী নিরাপত্তা নারী সুরক্ষা নিয়ে আবারো প্রশ্ন উঠে গেছে। টলিপাড়ার অনেকেই এই ঘটনা তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। একজন তারকা, তিনিও তো সাধারণ মানুষ... তাহলে তারা আন্দোলনের আমলে কেন এতটা জনরোষ এবং আক্রোশ?
যেভাবে তারকাদেরকে দমিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তাতে করে তাদের কি আন্দোলনে ভাগ নেওয়া উচিত, কিংবা রাস্তায় নেমে রাত দখল করা উচিত? বারবার প্রশ্ন উঠছে এমনই। একদিকে যেমন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় কেন হাসছেন এই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, তেমনই প্রশ্ন উঠছে কোন তারকা পথে না নামলেও। আর গতকাল রাত্রে ঋতুপর্ণার সঙ্গে যা হয়েছে, শুধু ধিক্কারজনক, এমনটাই মনে করছে টলিউডের অনেকই।
কী মতামত অভিনেত্রীদের?
অভিনেত্রী চূর্ণী গাঙ্গুলি জানিয়েছেন, তিনি কোনভাবেই এই কান্ড মেনে নিতে পারছেন না। একজন মানুষকে গো ব্যাক স্লোগান, নারীদের নিরাপত্তা চাইতে গিয়ে, অন্য একটি নারীকেই হেনস্থা করার তিনি মানতে পারছেন না। তিনি বলছেন, " ঋতুর ওপর হয়তো অনেকের রাগ আছে। কিন্তু ও হয়তো নিজের ভুলটা বুঝতে পেরেই আন্দোলনে যোগ দিতে এসেছিল। যে যেমন ভাবে, যেভাবে ইচ্ছে প্রতিবাদ করবে। কারোর যদি পরে মনে হয়, সে তখনই আসুক। কিন্তু সুযোগটা কেড়ে নিলে খুব মুশকিল।" চূর্ণী এমনও জানিয়েছেন, হয়তোবা এরকম ঘটনা ঘটতে থাকলে মানুষের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা জাগতে পারে। কিংবা তার সংকোচ বোধ হতে পারে আন্দোলনে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে।
আরও পড়ুন - অভিনেত্রীকে 'মেয়ে' বলে ডেকেছিলেন, তাঁকেই দিনের পর দিন ধর্ষণ করেন পরিচালক!
আন্দোলনের তারকারা যোগ দিচ্ছেন তার মধ্যে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় উল্লেখযোগ্য। গতকালও তাকে দেখা গেছিল একটি প্রতিবাদে। অভিনেত্রী সব সময় জানাচ্ছেনও না, বরং নিজে থেকে এগিয়ে সামিল হচ্ছে। শ্রাবন্তির কথায় ফের একবার নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠল। অভিনেত্রী জিজ্ঞাসা করলেন, "ইন্ডাস্ট্রির একজন বয়জষ্ঠা শিল্পী নিজের মনে করে আন্দোলনের প্রতিবাদ করতে গিয়েছিলেন। তার সঙ্গে এরকম একটি কান্ড ঘটা মানে তো প্রতিবাদ অর্থহীন হয়ে যাওয়া।"
ঋতুপর্ণার পাশে দাঁড়িয়ে আছেন অনেকেই। উষসী চক্রবর্তী থেকে, সুদীপ্তা চক্রবর্তী রুপা গঙ্গোপাধ্যায়, এবং অনেক তারকাই এই ঘটনাকে সমর্থন করেননি। সুদীপা চট্টোপাধ্যায়, নীরবতা ভেঙে বলেন, "আজ কিন্তু ঋতুর চোখের জলে একটুও গ্লিসারিন ছিল না।"