/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/28/roshan-kidar-sharma-2025-09-28-17-00-50.jpg)
জানুন এই সুরকারের অজানা গল্প...
সাম্প্রতিক নেটফ্লিক্স ডকুমেন্টারি দ্য রোশনস দর্শকদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছে, বলিউডের অন্যতম প্রভাবশালী পরিবার রোশনদের সঙ্গে। সিরিজটিতে ফিরে দেখা হয়েছে পরিবারের ইতিহাস, যা শুরু হয়েছিল সংগীত পরিচালক রোশন লাল নাগরাথের হাত ধরে। তিনি ১৯৫০ ও ৬০-এর দশকে খ্যাতি অর্জন করেন, তবে অকালপ্রয়াণে অসম্পূর্ণ রেখে যান তাঁর সুরের যাত্রা। উত্তরাধিকার বহন করেন তাঁর পুত্ররা। আর আজ রোশন পরিবারের সবচেয়ে উজ্জ্বল মুখ নিঃসন্দেহে হৃতিক রোশন, যিনি এই ডকুমেন্টারিতেও ছিলেন আলোচনার কেন্দ্রে।
কয়েক বছর আগে, পরিচালক কেদার শর্মা তাঁর আত্মজীবনীতে রোশনের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের ঘটনা তুলে ধরেছিলেন। অল ইন্ডিয়া রেডিও থেকে চাকরি হারিয়ে, একদিন তিনি রেলওয়ে প্ল্যাটফর্মে রোশনকে তাঁর দুই স্ত্রীর সঙ্গে বসে থাকতে দেখেন। আলাপচারিতায় জানতে পারেন রোশনও একজন সংগীত পরিচালক, তবে কর্মহীন। শর্মা তাঁকে আশ্রয় দেন ও কাজের সুযোগ করে দেন। তাঁদের সহযোগিতায় তৈরি হয় নেকি অউদ বড়- রোশনের প্রথম হিন্দি চলচ্চিত্র। পরবর্তীতে বাওরে নয়ন-এর সাফল্য তাঁকে প্রতিষ্ঠিত করে।
Raghu Dakat Movie- Dev: 'শত্রু যত বাড়ে, তাঁর মানে এগোচ্ছি,' 'রঘু ডাকাতে'র সমালোচনা সামলালেন দেব
তবে সম্পর্ক বেশিদিন টেকেনি। কেদার শর্মার দাবি, হিট ছবির পর রোশন ‘অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী’ হয়ে ওঠেন এবং নিজেদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন। আর্থিক সঙ্কটে থাকা অবস্থায়, শর্মা তাঁকে কম পারিশ্রমিকে কাজ করার অনুরোধ করলে, রোশন রাজি হননি। তিনি শতাধিক সংগীতশিল্পী দাবি করেছিলেন, পরে অর্ধেক মেনে নিলেও শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত দিনে অনুপস্থিত থাকেন। শর্মা বলেন, তিনি তখন ঋণ নিয়ে রেকর্ডিংয়ের আয়োজন করেছিলেন, কিন্তু রোশনের না-আসা তাঁকে বিপর্যস্ত করে দেয়। শেষ পর্যন্ত এক পুরনো সহকর্মীর সাহায্যে কাজ এগোয়, আর তখনই তিনি স্থির করেন, ভবিষ্যতে আর কখনো ‘তারকাদের’ সঙ্গে কাজ করবেন না।
তবে একইসঙ্গে শর্মা স্বীকার করেন, ১৯৪০-এর দশকের শেষে তিনি যদি প্ল্যাটফর্মে রোশনকে না দেখতেন, হয়তো তাঁর প্রতিভা বিকশিত হওয়ার সুযোগ পেত না। রোশন পরে অসংখ্য জনপ্রিয় সিনেমায় সঙ্গীত দিয়েছিলেন এবং ১৯৬০-এর দশকে পৌঁছেছিলেন ক্যারিয়ারের শিখরে। কিন্তু হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৫০ বছর বয়সে প্রয়াত হন। তখন তাঁর দুই ছেলে কিশোর- রাজেশ। কিশোর পরবর্তীতে সংগীত পরিচালক হন। এবং রাকেশ, যিনি অভিনেতা হিসেবে শুরু করে পরবর্তীতে সফল পরিচালক ও প্রযোজক হয়ে ওঠেন।