Rudranil Ghosh on 21st July: আর গুনে গুনে কিছুদিনের অপেক্ষা। ২১- জুলাই বা শহিদ দিবস কলকাতা শহরের বুকে এমন এক অবস্থার সৃষ্টি করে যে একেকজন মানুষ একেকরকমের প্রতিক্রিয়া দেন। নানা মানুষ একে নানা চোখে দেখেন। ঠিক সেরকমই খেয়াল করলে দেখা যাবে এদিন তারকা উপস্থিতি দারুণ থাকে। এবং তারকারা কেউ কেউ তীব্র রোষানলেও পড়েন। আবার, যারা নিজেদের রাজনীতির রঙে রাঙিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা নানা ধরণের মন্তব্য করেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা রুদ্রনীল ঘোষের সঙ্গে এই প্রসঙ্গে কথা বললে, বেশ কিছু সজা-সাপ্টা উত্তর দেন। তাঁর সঙ্গে সঙ্গে শাসকদলকে এবারও কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না তিনি।
প্রসঙ্গে ২১-শে জুলাই
আমার কাছে ২১- জুলাই হচ্ছে ধর্মতলায় অত্যন্ত জ্যাম। অনেক মানুষের আনাগোনা সঙ্গে তুমুল ভিড়।
সত্যিই কি ডিম-ভাত দিবস
যারা ডিমভাত দিবস বলেন আমার মনে হয় না তাতে কোনও ভুল আছে। কারণ ঐ মঞ্চ থেকে যা যা বলা হয় প্রতিবার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে একই কথা বলা হয়। মিথ্যে কথা এবং প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। জনগণ-কর্মী উভয়কেই। এর আগের বার ২১- জুলাই, দলনেত্রী বলেন, অন্যায় বা অবাঞ্ছিত অত্যাচারে আর কেউ জড়াবেন না। উনার সব মন্তব্যে জনগণ বা কর্মীরা 'হ্যাঁ' বললেও, এই উপলক্ষে কিন্তু আর হ্যাঁ বললেন না।
Chiranjeet Chakraborty: ২১-শে জুলাইকে যারা ডিম-ভাত দিবস বলে তাঁরা বিধানসভা-লোকসভায় শূন্য: চিরঞ্জিত চক্রবর্তী
কংগ্রেসের শহিদ দিবস
উনি এই দিনটাকে শহিদ দিবস ছাড়াও আরও নানা কিছু হিসেবে পালন করেন। নিজের দলের নানা কর্মসূচি জানান সেদিন। কিন্তু এদিন আসলে কংগ্রেসের সেই শহিদ ভাইদের। তাঁরা প্রাণ দিয়েছেন কংগ্রেসের পতাকা কাঁধে নিয়ে। কোনোদিন তৃণমূল দলটা পর্যন্ত চিনতেন না তাঁরা। কংগ্রেসের শহিদদের আমাদের বলে পালন করা, তাঁরা কারা? কংগ্রেসিদের হটিয়ে নিজেদের বলে জবর-দখল করা। রাইটার্স বিল্ডিং অভিযানে, সেখানে সিপিএমের লাঠিচার্জ এবং গুলি, মারা গেলেন কংগ্রেসের কর্মীরা, ফলে তাঁর সঙ্গে মারা গেল পশ্চিমবঙ্গের জাতীয় কংগ্রেসের অধিকার। ওরা নিজেদের শহিদকে 'আমাদের' বলতে পারেন না। ওখানে যারা আসেন, তাঁরা অনেকেই জানেন না কী উদ্দেশ্যে আসছেন। তৃণমূলের সঙ্গে পয়সার যোগ তো আছেই। তবে, আমার এদিনটা একারণে ভাল লাগে, কারণ এই দিন পশ্চিমবঙ্গের কোনও গ্রাম-গ্রামান্তরে চুরি হয় না। সবাই ভাষণ শুনতে গিয়ে চুপ করে বসে থাকে।
রুদ্রনীলের ২১-শে জুলাইয়ে উপস্থিতি
আমিও এক সময়ে গিয়েছিলাম। আমি বুঝতে পারিনি ওটা কিসের অনুষ্ঠান। কেউই বুঝতে পারে না। যারা এখনও যান তাঁরাও জানেন না। সেদিনের মাহাত্ম্য যেটা, সেটাকে বিকৃত করে পাল্টে দেওয়া হয়েছে। যারা মঞ্চে বসেন কিংবা ভাষন দেন তাঁরাও জানেন এই দিন এই সভা না করলেও চলে। কংগ্রেসের শহিদদের জন্য এই যে তৃণমূলের এত দুঃখ এবং আবেগ- এর কারণ আজও কেউ বোঝেননি। হয়তো এটা কোনও অলিখিত চুক্তি। কারণ তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেস নামটা জড়িয়ে। মজার কথা হচ্ছে যাদের গুলিতে মারা গেলেন কংগ্রেসের কর্মীরা, তাঁদের একজনকে ডেকেই উনি তৃণমূলের মন্ত্রী করলেন।