Rudranil Ghosh - Dilip Ghosh Marriage: আজ বৈশাখের প্রথম লগ্ন। বিয়ের মরশুম শুরু হল আজ থেকে। আর কাল থেকে যে খবর শোনা যাচ্ছে, তাতে পশ্চিমবঙ্গের বেশিরভাগ তরুণ এমনই দাবি করছেন, যে সকাল হতেই তাঁরা মর্নিং ওয়াকে যাবেন। কারণ, রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ আজ বিয়ে করছেন। পাত্রী রিঙ্কু মজুমদার। ৬১ তে এসে মায়ের জোরাজুরিতে বিয়ের পিঁড়িতে সকলের প্রিয় দিলু দা। পাত্রীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় দলের সূত্রেই।
আরও পড়ুন - Sudeshna Roy: 'ফেডারেশনে কার সঙ্গে কথা বলব?' নতুন কাজ স্থগিত হতেই মন ভাঙল সুদেষ্ণার
এদিকে, ৬১তে যখন নিজেকে ব্রহ্মচারী বলা দিলীপ ( Dilip Ghosh ) বিয়ে করছেন, তখন বিজেপির আরেক মুখ রুদ্রনীল ঘোষ? তাঁর কি বিয়ে করতে ইচ্ছে করে? এর আগেও বহুবার তাঁর বিয়ে নিয়ে মশকরা করা হয়েছে। এমনকি, রুদ্রকে তাঁর ইন্ডাস্ট্রির বিবাহিত বন্ধুরা পর্যন্ত বিয়ে করার কথা বলেছেন, কিন্তু তিনি কেন বিয়ে করছেন না? আর গতকাল দিলীপ বাবুর বিয়ের খবর পেয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া কী ছিল? অভিনেতার কাছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার ফোন যেতেই তিনি হো হো করে হেসে উঠলেন।
অভিনেতা জানালেন, আর পাঁচজনের মত তাঁরও মনে হয়েছিল, দিলীপ ঘোষ বিয়ে করছেন? সংবাদ মাধ্যম সূত্রেই তিনি খবরটি পান। অভিনেতা বলেন, একটু বিস্ময় লেগেছিল। লোকে বলেন, "উনি খুব কড়া, RSS করেছেন। কী করে হয়? আর ৫ জনের মত আমারও এই টাইপের চিন্তা ভাবনা এসেছিল। কিন্তু, তাঁর সঙ্গে সঙ্গে আমি এটাও সম্মান করি, যে একজন মানুষ কী করে নিজেকে ভাল রাখবেন, এটাও তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। কোন কোন বিষয়কে কেউ প্রাধান্য দেবেন, সেটা তাঁর নিজের ব্যাপার। সমাজ মাধ্যমের দিনে আমরা মানুষকে নিয়ে অনেক কিছু লিখতে পারি। ছুঁচ হয়ে চালনীর বিচার করতেই পারি। তাই বলে, ব্যক্তিগত জীবনে তিনি কবে বিয়ে করবেন, সেটা তাঁর ব্যাপার। আমি সাধারণত বন্ধু বান্ধবের বিয়েতেও মাথা ঘামাইনি। কেউ যখন আইন মেনে, সামাজিকভাবে একটা নতুন সম্পর্ক শুরু করছেন, তখন বাকি সকলের আনন্দ হওয়াই উচিত।"
আরও পড়ুন - Soha Ali Khan: রাতারাতি সব পাল্টে গেল, ভূত সপাটে এক চড় মারতেই...ভয়ঙ্কর ঘটনার কথা জানালেন সোহা
যদিও বা রুদ্রর ৫০ এর গণ্ডি পেরিয়েছে। কিন্তু বিয়ের পিঁড়িতে যাওয়ার তাঁর নামগন্ধ নেই। কখনও রাজ বলছেন বিয়ে করতে, আবার কখনও অন্যরাও। কিন্তু, তিনি বিয়ে কেন করছেন না? চারিদিকে এখন এই একটাই প্রশ্ন। দিলীপ ঘোষের বিয়ে দেখে কি আরেক ঘোষের বিয়ে করতে ইচ্ছে করছে? রুদ্র হাসতে হাসতে বললেন... "দিলীপ দা আমি যে দল করি, সেই দলের এক সম্মানীয় নেতা। তিনি আমার থেকে বয়সে অনেক বড়। কাজেই তাঁর সঙ্গে এহেন প্রসঙ্গে আলোচনা একেবারেই হয়নি। আমার যে ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা আছে, রাজ কিংবা পরম কিংবা কাঞ্চন, এরা বিয়ে করে আমায় বহুবার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। কিন্তু, বিষয়টা হচ্ছে, একটা পরিবেশ লাগে সবকিছুর জন্য। আমার নিজের একান্ত ব্যক্তিগত মতামত, যে অস্থিরতা পশ্চিমবঙ্গে চলছে, তাতে শুধু নিজেকে নিয়ে ভাবার মত অবস্থা এখন এই রাজ্যের মানুষের মধ্যে নেই। বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে গেলে, আমি থেকে আমরা হয়ে যায়। সংসারে কিছু নীতি আছে, অনেক দায়বদ্ধতা আছে। সেগুলোকে এড়িয়ে চলা যায় না। আমার যিনি বউ হবেন, তাঁর বাপের বাড়িতে কী ঘটছে সেটা আমায় জানতে হবে। বেশ কিছু গুরুত্বপুর্ন আলোচনা এই সংসারে না হলে, বিস্ফোরণ হবে। আমার মনে হয় না, আমার মধ্যে সেই ধরনের ক্ষমতা এখন আছে। কারণ, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে যে ধরনের বা যেটুকু কাজ আমরা করছি, তাতে এখন আমার কিছু ভূমিকা আছে। এই অস্থিরতার সময় আমি স্থিরতা নিয়ে স্ত্রীকে কতটা সময় দিতে পারব, সেই নিয়েই আমার সন্দেহ আছে। কিন্তু, পরিচিত কারওর বিয়ে শুনলেই যে মনের মধ্যে সানাই বাজে, এটা নয়।"
কেমন পাত্রী বিয়ে করতে চান তিনি?
অভিনেতা এবং রাজনীতিবিদ জানান, তাঁর কেমন পাত্রী পছন্দ। রুদ্রর কথায়, "কোনোদিন যদি অস্থিরতা পেরিয়ে কারওর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হই, তাহলে আমার ভাবনা চিন্তা একটাই হবে। আমি কোনও কর্মরতা নারীকে বিয়ে করব। কারণ, আমার জীবনে লড়াই রয়েছে। খুব মসৃণভাবে বড় হইনি। সেক্ষেত্রে আমার মনে হয়, ঘামের দাম বোঝেন, পরিশ্রমকে সম্মান করেন, এমন মানুষকে আমি বিয়ে করতে চাই।"