রাজ্যপুলিশের (West Bengal Police) মাদক-বিরোধী প্রচারে রুদ্রনীল ঘোষের (Rudranil Ghosh) মুখ। রেগে লাল অভিনেতা। সম্প্রতি যুবপ্রজন্মকে আকৃষ্ট করার জন্য পুলিশের তরফে অভিনব প্রচার শুরু হয়েছে।
দিন কয়েক আগেই দেব, আবির চট্টোপাধ্যের মতো অভিনেতাদের দিয়ে মাদক-বিরোধী ক্যাম্পেইন (West Bengal Police Anti-Drug Campaign) শুরু করেছে রাজ্যপুলিশ। এবার সেই প্রেক্ষিতেই রুদ্রনীল, যিনি কিনা এখন বিজেপির সংস্কৃতি সেলের পরিচালক পদে রয়েছেন, তাঁর 'ভিঞ্চিদা' সিনেমার জনপ্রিয় সংলাপ ধার করে রাজ্য পুলিশের বিজ্ঞাপনী পোস্টার তৈরি হয়েছে। লেখা-" বিভিন্ন জায়গায় মাদকচক্রের খপ্পড়ে পড়ে কখন যে আপনি নিজেই মাদকাসক্ত হয়ে পড়বেন, ধরতে পারবেন না।" আর সেই বিজ্ঞাপন দেখে চটে লাল রুদ্রনীল ঘোষ। অতঃপর সপাটে মমতা সরকারকে বিঁধতেও পিছপা হলেন না অভি'নেতা'। চূড়ান্ত শোরগোল দেখে শেষমেশ সেই বিজ্ঞাপন মুছে দিল রাজ্য পুলিশ।
রুদ্রনীলের মন্তব্য, "রাজ্য পুলিশ মাদক বিরোধী সচেতনামূলক বিজ্ঞাপনে আমার ছবি ব্যবহার করেছেন দেখে অবাকও হয়েছি, মজাও পেয়েছি। তবে আমার অনুমতি কেউ নেননি। প্রথমত, এই ছবিটি সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত বহুল প্রশংসিত ভিঞ্চিদা সিনেমার একটি দৃশ্য। আমার মুখের জনপ্রিয় সংলাপ 'ধরতে পারবেন না'কে তারা নিয়েছেন। এতে মানুষকে আকর্ষণ করতে চেয়েছেন। কিন্তু, এটা তো হওয়ার কথা না। রাজ্য সরকারের বিজ্ঞাপনে, পুরষ্কার বা সম্মান পাওয়ার তালিকায়, চলচ্চিত্র উৎসবের আমন্ত্রিতদের তালিকায়, মঞ্চে তো সাধারণত শাসকদলের হয়ে প্রচার করা শিল্পী কিংবা বুদ্ধিজীবীরাই স্থান পান! তাহলে আমি কেন? রোজই তো এ রাজ্যে যা যা অন্যায় চুরি-জোচ্চুরি ঘটছে, তা নিয়ে কোনও না কোনও সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলি! তাহলে এটা কেন ঘটল?"
<আরও পড়ুন: সংসারে অমঙ্গল! কোন অঘটনের রোষে তছনছ হয়ে যাবে টিপু-বরফির সংসার?>
এখানেই অবশ্য থামেননি বিজেপির তারকা সদস্য তথা অভিনেতা। বলেন, "মনে হয় ভুল করে রাজ্য পুলিশের কোন ব্যাক অফিসকর্মী, যিনি বন্দুকের বদলে কম্পিউটার গ্রাফিক্স সামলাবার দায়িত্বে আছেনবা কোন মিডিয়া এজেন্সি জনপ্রিয় ডায়লগকে ব্যবহার করতে গিয়ে এই অঘটনটি ঘটিয়েছেন। চাকরি নিয়ে না টানাটানি হয় বেচারার! কারণ, রাজ্যের বিরোধী দলের মানুষজনকে পুলিশ দিয়ে হেনস্থা বা বিরক্ত করার নিদানই তো দেওয়া আছে তা সবাই জানে।কিম্বা বাধ্য হয়ে বিরোধী পেটানো পুলিশ পাল্টি খাচ্ছে না তো আস্তে আস্তে?"
এর পাশাপাশি রুদ্রনীল এও বলেন যে, "আর যদি কেউ ভাবেন আমায় এসব করে শাসক দলে টানার রাস্তা তৈরি করব। তাঁদের উদ্দেশ্যে আমার একটাই সংলাপ- রোগী আইসিইউ-তে চলে গেলে আর কমলালেবু কিনে দিয়ে লাভ নেই।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন