Sabyasachi Chowdhury: সহজ ভাষায় লয়াল প্রেমিক বলতে যা বোঝায়, সেটাই যেন সব্যসাচী চৌধুরী। একসময় যাকে প্রচন্ড মাত্রায় ভালবাসতেন, যদি বা আজও তার চোখে মুখে সেই বিষয়ে পরিষ্কার, মানুষটা হাত ছাড়লেও, তার প্রতি ভালোবাসা একটুও কমেনি। ঐন্দ্রিলা চলে যাওয়ার পর থেকে, নিজেকে একদম গুটিয়ে নিয়েছিলেন সব্যসাচী। তার আগে তাকে যেটুকুও বা দেখা যেত, তারপর নিজেকে একদম বন্দি করে নিয়েছিলেন এই অভিনেতা।
তারপর কিছু মাস পর তিনি সিরিয়ালে ফেরেন। রামপ্রসাদের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল তাকে। হোদল নামে একটি ক্যাফেও চালান তিনি ও তাঁর বন্ধুরা। কিন্তু সব্যসাচী যেভাবে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন ঐন্দ্রিলা চলে যাওয়ার পর, তাঁকে সেভাবে কোনও জায়গাতেই দেখা যায় না। কিছুদিন আগেই, SVF এর অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখা গিয়েছিল। আর এবার তিনি মুখ খুললেন কেন তাকে এত কম সময় দেখা যায়। এখন কাজের বাইরে সেভাবে কোন ব্যস্ততা নেই। কারণ কাছের মানুষটাই তাকে ছেড়ে চলে গেছে।
Bharti Singh: ভীষণ অসুস্থ ভারতী সিং, চলছে চেক-আপ, ছোট সন্তানের জন্য আতঙ্কে ঘুম উড়েছে...
নিজের জীবনটাকে একাই সাজিয়ে গুছিয়ে নিয়েছেন। অভিনেতাকে বলতে শোনা গেল, "খুব একটা পাবলিক ইভেন্টসে আমাকে দেখা যায় না। কিংবা কোলাবরেশন অথবা রিলস সেগুলো আমি একটাও করিনা। কিংবা আমি কোন শো করিনা। যেটাকে মাচার শো কিংবা যাত্রা পালা বলে।" তার নেপথ্যে একটা কারণ অবশ্য রয়েছে। অভিনেতা আগে থেকেই জানতেন তিনি এই ইন্ডাস্ট্রিতে কি করতে আসছেন বা কি করতে চান না। কোন দিকে তার চোখ থাকবে এটা আগে থেকেই বুঝে গিয়েছিলেন।
তিনি স্পষ্ট কথায় বললেন, "আমি ইন্ডাস্ট্রিতে আসার আগে জানতাম যে আমার কতটুকু চাই এবং কি চাই। এবং তার বেশি আমি চাইনা। অভিনয়ের সাথে যুক্ত ছিলাম না। পড়াশোনা করতাম। আমি যখন এখানে আসি, আমি চেয়েছিলাম যে এইটুকুই করব। প্রথমদিকে যখন একটু পরিচিত হতে শুরু করলাম, আমাকে অনেকেই বলেছিল যে মাচাতে চল। পয়সা পাবি বলেছিল। আমি যে যাইনি এমনটা নয়। প্রথম প্রথম ব্যাপারটা ভাল লাগলেও, পরে আমি বুঝতে পারলাম যে না এটা আমার জন্য নয়। আমি কয়েকটা বিষয় খুব মেনে চলি। আমি যে কাজ করি তার জন্য আমি পয়সা নেই। কিন্তু পয়সার জন্য আমি কোনদিনও কাজ করি না।"
তাহলে কি জীবনটা অত্যধিক ব্যস্ত? নতুন মানুষ কি এসেছে তার জীবনে? এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার কেউ নেই। তথাকথিত, আমার জীবনে কোন ব্যস্ততাও নেই।