এখন তাঁর 'জিয়ন কাঠি' আধখানা ফুসফুস। বিগত এক বছর ধরেই ক্যানসারের সঙ্গে লড়ে যাচ্ছেন ঐন্দ্রিলা শর্মা (Oindrila Sharma)। মারণ রোগের কোপে অভিনয় দুনিয়া থেকেও এখন দূরে রয়েছেন তিনি। আর তাঁর এই লড়াইয়ে সর্বক্ষণের জন্য পাশে পেয়েছেন বন্ধু তথা প্রেমিক অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরীকে (Sabyasachi Chowdhury)। টেলিদর্শকদের কাছে যিনি 'বামাক্ষ্যাপা'। তিনিই এই কঠিন সময়ে আগলে রেখেছেন ঐন্দ্রিলাকে।
Advertisment
অভিনেত্রীর শারীরিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অনুরাগীরা নানা প্রশ্ন করেন সব্যসাচীকে। সেই প্রেক্ষিতেই প্রেমিকাকে নিয়ে প্রতি মাসে পোস্ট করা অভিনেতারও অভ্যেস হয়ে গিয়েছে। এবারও তার অন্যথা হল না। আশঙ্কার সুরে সব্যসাচীর মন্তব্য, "আমি কাউকেই বিশেষ কিছু বলি না, আসলে 'ভাল আছে' বলতে আমার ভয় লাগে। সত্যি বলতে, চোখের সামনে আমি যা দেখেছি এবং নিয়মিত দেখছি, সেটাতে ভালো থাকা বলে না, সেটাকে অস্তিত্বের লড়াই বলে। অবশ্য এইসব খটোমটো কথা কেবলমাত্র আমিই বলি, ওকে যদি কেউ জিজ্ঞাসা করে তাহলে এক গাল হেসে উত্তর দেবে- খুব ভালো আছি, আমার রাশিফল ভালো যাচ্ছে।"
'বামাক্ষ্যাপা' অভিনেতা আরও জানালেন, "কথা ছিল সেপ্টেম্বর মাস অবধি চিকিৎসা চলবে, ক্রমে সেটা গুটিগুটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ডিসেম্বরে। প্রতিবার যখন ডাক্তার বলেন চিকিৎসার সময় বাড়াতে, ওর মুখটা যন্ত্রনায় কুঁকড়ে যায়। প্রতিবার কেমো নেওয়ার পর কয়েক রাত অসহ্য যন্ত্রনায় ছটফট করে। শুয়ে থাকলে মনে হয়ে বুকে পাথর চেপে বসছে, আবার উঠে বসলে শ্বাস নিতে পারে না। রক্তচাপ মাঝেমধ্যেই ৮০/৪০ এ এসে ঠেকে। খাওয়ার ইচ্ছা এবং স্বাদ চলে যায়। আধখানা ফুসফুস বাদ যাওয়াতে সবটাই বড় কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। খুব কড়া ডোজের ঘুমের ওষুধ খাইয়ে একপ্রকার অচেতন করে রাখা হয় ওই কয়েকটা দিন। তবে বাকি দিনগুলিতে দিব্যি ঠিক থাকে, পুজোর জন্য অনলাইন শপিং, আমার ওপর হম্বিতম্বি, লেজওয়ালা বাচ্চাদের তদারকি, সবটাই পরিপাটি করে পালন করে।"
বান্ধবী ঐন্দ্রিলাকে যে সব্যসাচী এত সহজে হারতে দেবেন না, তা জানিয়েই দিয়েছেন অভিনেতা। আর সেই কারণেই প্রতিটা মুহূর্তে এই কঠিন লড়াইয়ে তাঁর সঙ্গে সামিল পর্দার 'বামাক্ষ্যাপা'।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন