ছবি: সাগরদ্বীপে যকের ধন
পরিচালনা: সায়ন্তন ঘোষাল
অভিনয়: পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, কোয়েল মল্লিক, গৌরব চক্রবর্তী, কৌশিক সেন, শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়, রজতাভ দত্ত, কাঞ্চন মল্লকি
রেটিং: ৩/৫
গুপ্তধনের সন্ধান গোয়েন্দা গল্পের মতোই বাঙালির বড় প্রিয় বিষয়। ধাঁধায় মোড়া রহস্যের সমাধান কিনা! সেই ফর্মুলায় দেখলে সাগরদ্বীপে যকের ধন বক্সঅফিস সাফল্যের অভেদ্য বাণ। সায়ন্তন ঘোষালের এই ছবিও ভাল-মন্দ মিশিয়ে কল্পবিজ্ঞানের আধুনিক সংস্করণ। সিজি, ভিএফএক্স, বিজ্ঞানের মিশ্রণে মার্কারি রহস্যে-র উদঘাটন টানটান হল না।
ডাইলুটেড রেড মার্কারির খোঁজে দুর্গম দ্বীপের উদ্দ্যেশে যাত্রা করে বিমল ও কুমার, এবং আরো একজন। তিনি রুবি চ্যার্টাজী। কিন্তু তাদের কারণ আলাদা। তবে কোথাও গিয়ে লক্ষ্যটা এক- সমাজের কাজে লাগা, কারও প্রাণ বাঁচানো। লক্ষ্যভেদে সঙ্গে নিতে হয় আল মাহারির। কিন্তু শেষপর্যন্ত কি মিলবে গুপ্তধনের সন্ধান? তা জানতে হলে দেখতে হবে এই ছবি।
ছবির একটি দৃশ্যে পরম, গৌরব, কোয়েল ও কৌশিক সেন।
আরও পড়ুন, কলকাতায় আমির খান, চলছে শুটিং
ছবির ভালদিকের কথা বললে প্রথমেই বলতে হয় গ্রাফিক্সের কথা। বাংলা ছবির ক্ষেত্রে সীমিত বাজেট ও ততোধিক কম সময়ে এই আউটপুট সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। দ্বিতীয়ত ছবির চিত্রনাট্য। জমজমাট স্ক্রিপ্ট অনেকক্ষণ আপনার গোয়েন্দা সত্ত্বাকে জাগিয়ে রাখবে। ভাল আবহ ও অযাচিত গানের ব্যবহার না করে পরিণত মনের পরিচয় দিয়েছেন সায়ন্তন।
তবে ছবিতে চোখে গেলেছে অকারণ হাস্যরসের উদ্রেক করার জন্য বাড়তি সংলাপ। রজতাভ দত্তর অ্যাকসেন্ট ও চরিত্রের বুনন। ভিএফএক্সের সঙ্গে কাজ করার কিছু বিড়ম্বনা পোহাতে হয়েছে অভিনেতাদের, তা পর্দায় দৃশ্যমান। তবে ছোটদের ছবি হিসাবে ধরলে এসব কিছু অগ্রাহ্য করা সম্ভব। সুতরাং, সিনেমাহলে গিয়ে সাগরদ্বীপে গুপ্তধন খোঁজার অ্যাডভেঞ্চার নেওয়া যেতেই পারে। মন্দ লাগবে না।