Saif Ali Khan House Incident: আধা ঘন্টা ধরে অপারেশন চালায় হামলাকারী। লুকিয়ে ছিলেন সইফ আলী খানের বাড়িতেই। গতকাল থেকে নবাব সাহেবের শরীর নিয়ে আতঙ্ক এবং উদ্বেগ। দুষ্কৃতী সইফের শিরদাঁড়ায় ছুরি বসিয়ে দেন। সেই থেকে একটাই প্রশ্ন, কে এই ব্যক্তি? কেনই বা এই কান্ড ঘটালেন? তবে, প্রকাশ্যে এসেছে বেশ কিছু ভাইরাল ফুটেজ। যেখানে দেখা যাচ্ছে, তারকার বাড়ির সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসছেন সেই অভিযুক্ত।
তারকাদের বাড়িতে ঢুকে, তাঁকে ছুরি মেরে দেওয়ার ঘটনা নেহাতই সহজ নয়। এমন ঘটনা আগে ঘটেও নি। এ যেন বিরল দৃশ্য। পরনে কালো রংয়ের পোশাক। সিঁড়ি দিয়ে যখন তিনি নেমে আসছেন তখন একবার সিসিটিভি এর দিকে তাকিয়েছিলেন, এমনটাও দেখা গিয়েছে। তাই বলে আধা ঘণ্টা লুকিয়ে থেকে এতবড় কান্ড করে বসবেন সেই হামলাকারী, যেন কেউ ভাবতেও পারছেন না। ছোট ছেলে জেহকে প্রথমে আক্রমণ করে সে। তাঁর ন্যানি বাঁধা দেওয়ার পর সইফ ( Saif Ali Khan ) নিজে ঝাঁপিয়ে পড়েন।
প্রসঙ্গে, জেহর ন্যানি এলিয়াম্মা ফিলিপ সমস্ত ঘটনা জানিয়েছেন। এবং তাঁর বয়ানের ভিত্তিতেই FIR দায়ের করা হয়েছে। বাড়ির ষষ্ঠ তলার ফ্লোর থেকে সেই হামলাকারীকে নামতে দেখা যায়। শুধু তাই নয়, সূত্রের খবর, অভিনেতা যখন ধস্তাধস্তি করছেন তাঁর সঙ্গে, তখন নাকি তিনি ১ কোটি টাকা দাবি করেন। সেটি দিতে না রাজি হওয়ার কারণেই সইফকে ছুরি দিয়ে কোপান সেই অভিযুক্ত। FIR এ জানানো হয়েছে...
১১ এবং ১২ তলা ফ্লোরে গোটা পরিবার থাকেন। তাঁর মধ্যে ১১ তলায় তিনটি ঘরের একটা সইফ এবং করিনার। অন্য দুটি দুই ছেলের। আর ১১তলাতেই এই ঘটনা ঘটেছে। ন্যানি ফিলিপ জানিয়েছেন, রাত ১১টা নাগাদ তাঁরা জাহাঙ্গীরকে ঘুম পাড়িয়ে দেন এবং নিজেরাও সেই ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। প্রায় ২টো নাগাদ তিনি হঠাৎ এক আচমকা শব্দে উঠে বসেন। দেখেছিলেন ঘরের দরজা খোলা এবং বাথরুমের আলো জ্বলছে। ভেবেছিলেন, করিনা হয়তো বা দেখতে এসেছেন ছেলেকে। তবে তারপরেই সন্দেহ বাড়তে থাকে তাঁর। বললেন...
"আমি সন্দেহের চোটে আবারও উঠে বসলাম। হঠাৎ টুপি পরা একজনের ছায়া দেখতে পেলাম। আমি যখন দেখার চেষ্টা করছি যে কে ওখানে, দেখলাম যে কে একজন বাথরুম থেকে বেরিয়ে জেহ বাবার বিছানার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে দৌড়ে যাই সেদিকে। সেই লোকটা আমায় আঙুল দেখিয়ে চুপ করতে বলে। ততক্ষণে জুনুর ঘুম ভেঙে গিয়েছে। লোকটা তখন আবার হুমকি দিচ্ছিল, কোনও শব্দ করবেন না, কেউ বাইরে যাবেন না। আমি যখন তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, কী চাই? ও বলল পয়সা চাই। আমি বললাম কত? সে উত্তর দিল ১ কোটি।"
তারপরের ঘটনা শুনলে তো শিহরণ খেলে যাবে। বুদ্ধি করেই এলার্ম বাজিয়ে দেন আরেক ন্যানি। তাঁর বয়ান অনুসারে, "লোকটি তার বাম হাতে একটি লাঠি এবং অন্য হাতে ধারালো অস্ত্রের মতো একটি হেক্সা ব্লেড নিয়ে আমার দিকে এগিয়ে এলো...অনুপ্রবেশকারী তখন আমার সাথে ধস্তাধস্তি করছে এবং আমাকে আক্রমণ করে। আমি রক্ষা করার চেষ্টা করার সময়, আমার উভয় হাতের আঙ্গুল এবং ডান কব্জিতে আঘাত লেগেছিল। যখন আওয়াজ শুনে সইফ স্যার আসেন, তখন ঐ লোকটা হেক্সা ব্লেড দিয়ে স্যারকে এবং গীতাকে ( তৈমুরের ন্যানি ) আক্রমণ করেন। হট্টগোল শুনেই আরও চার কর্মচারী জেগে ওঠেন।" এবং জানা যাচ্ছে, যেই ঘরে আক্রমণকারীকে আটকে রাখা হয়েছিল সেই ঘরের দরজা খোলা পেয়েছিলেন বাড়ির অন্যান্যরা। তারপরেই তাঁরা বুঝতে পারেন অভিযুক্ত পালিয়ে গিয়েছেন।"