Saif Ali Khan Statement: মঙ্গলবার হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন সইফ আলি খান। ১৫ জানুয়ারি বুধবার, মধ্যরাতে সইফের উপর হামলা চালায় শরিফুল। সইফের পিঠে আড়াই ইঞ্চি ছুরি গেঁথে দিয়েছিল। জীবনমৃত্যুর লড়াইয়ে জিতে ফিরেছেন পতৌদি নবাব সইফ আলি খান। এই ঘটনায় মুম্বই পুলিশ গ্রেফতার করেছে অভিযুক্ত শরিফুলকে। সইফ বাড়ি ফেরার আগে মুম্বই পুলিশের কাছে বয়ান রেকর্ড করেছিলেন নবাব বেগম করিনা কাপুর খান। বাড়ি ফেরার পর এবার সইফের বয়ান নিল মুম্বই পুলিশ।
সইফের কথায়, ঘটনার সময় সৎগুরু শরণের ১২ তলায় স্ত্রী কপিনার সঙ্গে ঘুমাচ্ছিলেন। ঠিক রাত আড়াইটে নাগাদ জেহ-র ন্যানির চিৎকার শুনতে পান সইফ-করিনা। সঙ্গে সঙ্গে ঘুম ভেঙে যায় সইফিনার। জেহ-র ঘরের দিকে ছুটে যেতেই দেখেন এক অজ্ঞাতপরিচায় ব্যক্তি। ন্যানি ভয়ে কাঁপছে আর জেহ কাদছে। সইফ তাঁর সর্বশক্তি দিয়ে ওই দুষ্কৃতীকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। তখনই ছুরি দিয়ে তাঁকে বারংবার আঘাত করে। কোনওক্রমে দুষ্কৃতীকে ঘরের ভিতর ঢুকিয়ে দিলে জেহকে নিয়ে ন্যানি সেখান থেকে দৌঁড়ে পালান।
আরও পড়ুন: হাসপাতালেে সইফের সঙ্গে দেখা করেন শাহরুখ-সলমন-অমিতাভরা! ভাইরাল ছবির সত্যিটা জানুন
সুযোগ বুঝে দুষ্কৃতীকে ঘরের মধ্যে তালা দিয়ে দেন। কিন্তু, কী ভাবে সেখান থেকে সে পালিয়ে গেল সেই বিষয়ে কিছু জানেন না। সইফ আলি খানের উপর হামলকারী দুষ্কৃতী শরিফুল ইসলাম বাংলাদেশী। এমনটাই দাবি পুলিশের। প্রথমে পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল শরিফুলকে। পরে মুম্বইয়ের স্থানীয় আদালত সেই মেয়াদ বাড়িয়ে করল ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। সইফের বাড়িতে হামলার তিনদিন পর গ্রেফতার করা হয় শরিফুলকে। মঙ্গলবার কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছিল মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতাল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল সইফ আলি খানের হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসার সেই মুহূর্ত। তারকা দম্পতির নিরাপত্তার খাতিরে সকাল থেকেই হাসপাতাল চত্ত্বরে পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ। সইফ আর দুই সন্তানকে নিয়ে এখন বান্দ্রার ফরচুন হাইটস-এ নতুন ঠিকানা করিনার। সইফ বাড়ি ফিরতেই যেন সেখানে ছিল অকাল দীপাবলি। সুস্থ হয়ে ফেরার আনন্দে সইফের জন্য সাজানো হয়েছিল বাড়িটি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল বেশ কয়েকটি ছবি।