Saif Ali Khan worked in an ad agency: আজকের তারকা-অভিনেতা সইফ আলি খানকে একটি বিজ্ঞাপন সংস্থায় কাজ করতে পাঠিয়েছিলেন তাঁর বাবা ক্রিকেট লেজেন্ড মনসুর আলি খান পতৌদি। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথোপকথনে সইফ নিজেই জানিয়েছেন যে অতিরিক্ত পার্টি করার জন্যই তাঁর বাবা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ছেলের জীবনযাপনে সেই সময় বেশ বিরক্ত হয়ে উঠেছিলেন পতৌদি এবং তাঁকে জোর করেই পাঠানো হয়েছিল চাকরিতে।
বলিউডের তারকা-নায়িকা শর্মিলা ঠাকুর ও ক্রিকেট লেজেন্ড মনসুর আলি খান পতৌদির ছেলে বলেই যে সইফ আলি খানের অভিনেতা হয়ে ওঠা খুব সহজ ছিল তা নয়। পিঙ্কভিলা-র একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, সইফ জানিয়েছেন যে তিনি কিশোর বয়সে এবং যৌবনের প্রথম দিকটায় তিনি বাবা-মায়ের নেকনজরে ছিলেন না। ছেলে উচ্ছন্নে চলে যাচ্ছে ভেবে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন থাকতেন তাঁরা। একটা সময় দিল্লির একটি পাঁচতারা ডিসকোথেকে এত বেশি সময় কাটাতে শুরু করেছিলেন সইফ যে ওই নেশাটি ছাড়ানোর জন্যই ছেলেকে চাকরি করতে পাঠিয়েছিলেন পতৌদি।
আরও পড়ুন: কেবিসিতে ছত্রপতি শিবাজিকে অসম্মান? বিতর্কের মুখে ক্ষমা চাইল চ্যানেল!
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, সইফকে গাড়িতে নয়, একটি বাসে চাপিয়ে পাঠিয়েছিলেন পতৌদি সুন্দর নগর-এর একটি বিজ্ঞাপন সংস্থায়। সেখানে সইফের কাজ ছিল বিড়লা-দের জন্য ধর্মীয় ক্যালেন্ডার তৈরি করা। সইফ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে বিষ্ণুর ছবি অক্টোবরে দেওয়া হবে নাকি নভেম্বরে, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়াটাই নাকি ছিল তাঁর প্রধান কাজ। তাই খুব তাড়াতাড়িই চাকরিজীবনে ইতি টানেন সইফ।
'ম্যয় খিলাড়ি তু আনাড়ি' ছবিতে সইফ ও অক্ষয়। (ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস আর্কাইভ)
ইংল্যান্ডের সবচেয়ে নামী প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেছেন সইফ কিন্তু তাঁর বাবা-মায়ের ইচ্ছামতো অক্সফোর্ডে উচ্চশিক্ষা নিতে যাওয়া হয়নি। স্কুলে পড়ার সময়েও তাঁর সম্পর্কে নানা অভিযোগ ছিল। প্রথম থেকেই তিনি ছিলেন ছকভাঙা। কিন্তু তাঁর মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব ছিল। এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। তাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আসার সময়েও তিনি নিজেকে নিয়ে খুবই সংশয়ে থাকতেন। সেই সময়ে তাঁর প্রথম স্ত্রী অমৃতা তাঁকে খুবই সাহায্য করেছেন, এমনটাই জানিয়েছেন সইফ সংবাদমাধ্যমকে।