খুনের হুমকিতে ঘুম উড়েছিল সলমন খানের। ক্রমাগত প্রাণনাশের হুমকি উড়ে আসছিল। সেই প্রেক্ষিতেই নিজের কাছে বন্দুক রাখার আবেদন জানিয়েছিলেন মুম্বই পুলিশকে। এবার ভাইজানের সেই আর্জিতেই সিলমোহর বসাল পুলিশ। প্রাণ বাঁচাতে আগ্নেয়াস্ত্র রাখতে পারবেন সলমন খান।
প্রসঙ্গত, সিধু মুসেওয়ালা খুনের পর থেকেই প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছিলেন সলমন খান। বিষ্ণোই গ্যাংয়ের তরফেই ভাইজানকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলে খবর। যার জেরে মুম্বই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সলমন। বাড়ির বাইরেও খুব একটা পা রাখছিলেন না। অভিনেতার বাড়িতেই এসেছিল হুমকি চিঠি। তারপরই মুম্বই পুলিশ কমিশনার বিবেক ফানসলকারের সঙ্গে জুলাই মাসে দেখা করেন সলমন খান। ব্যক্তিগত বন্দুক রাখার আবেদন রাখেন অভিনেতা।
<আরও পড়ুন: বুলেটপ্রুফ গাড়ি, আঁটসাঁট নিরাপত্তা, প্রাণভয়ে সুরক্ষা বাড়ালেন সলমন খান>
সলমন খানের বাড়ি কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। বাংলোর ভিতরেও কড়া নিরাপত্তা। শুধু তাই নয়, ভাইজানের গাড়িটিকেও সুরক্ষায় মুড়ে ফেলেছেন তিনি। বর্তমানে বিলাসবহুল বুলেটপ্রুফ গাড়িই ব্যবহার করছেন সলমন খান। পুরনো গাড়িতেই বুলেটপ্রুফ কাঁচের জানালা বসিয়েছেন তিনি। অতঃপর সলমনের আতঙ্ক যে এখনও পিছু ছাড়েনি, তা বলাই বাহুল্য।
প্রসঙ্গত, জুলাই মাসেই সলমনকে আগ্নেয়াস্ত্র দেওয়ার পদ্ধতি শুরু হয়। উল্লেখ্য, জুন মাসের ২৯ তারিখে সিধু মুসেওয়ালা খুনের পর দিনই, সলমন ও তাঁর বাবা সেলিম খানকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া চিঠি যায়। গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই যে কিনা মুসেওয়ালা খুনের মাস্টারমাইন্ড, সেই ব্যক্তিই সলমন খানকে খুনের হুমকি দিয়েছিল। প্রথমটায় সেই হুমকিকে হালকা চালে নিলেও পরে পরিস্থিকি বুঝে তড়িঘড়ি তৎপর হয়ে ওঠেন অভিনেতা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন