একবার নয়, তিন তিন বার কামড়েছে সাপ। কিন্তু অহিংসার পথে না গিয়ে সাপটিকে নিজে হাতে জঙ্গলে ছেড়ে দিয়ে এসেছেন সলমন খান (Salman Khan) খোদ। ঠিক কী ঘটেছিল সেই রাতে? সংবাদমাধ্যমকে নিজে মুখে জানালেন ভাইজান।
Advertisment
সলমনের জন্মদিনের জন্য পানভেল ফার্মহাউজে তখন অতিথির ভীড়। কোত্থেকে একটা ঘরে সাপ ঢুকে পড়ে। যা দেখে স্বাভাবিকভাবেই বাচ্চারা ভয় পেয়ে যায়। চিৎকার, চেঁচামেচি শুনে অভিনেতা নিজে গিয়ে দেখেন, ঘরে সাপ! তৎক্ষণাৎ পরিচারকদের লাঠি আনতে বলেন। কিন্তু যে লাঠিটা নিয়ে আসা হয়েছিল, সেটা বেজায় ছোট। ওই ছোট লাঠিতেই সাপকে খেলিয়ে তোলেন সলমন। তাকে কোনওরকম আঘাত না করে, বাইরে বের করে আনেন। ততক্ষণে লাঠি বেয়ে সাপ সলমনের হাতের কাছে। যা দেখে উপস্থিত অতিথিরা চিৎকার জুড়ে দেয়! সাপও বেগতিক দেখে কামড় বসায় ভাইজানের হাতে।
কেউ বলে এটা তো বিষধর কান্ধারি! চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে সাপ কামড় বসায় প্রথমবার। তারপর আবার কেউ বলে ওঠে, না এটা চাভলা.. চাভলা সাপ। তখন দ্বিতীয়বারের জন্য কামড় বসায়। অভিনেতাকে সাপে কামড়েছে দেখে যখন চারিদিকে হুলুস্থূল কাণ্ড, হাসপাতাল হাসপাতাল বলে চেঁচাতে থাকে সবাই, তখন আবার সাপটি কামড়ায়। তিন বার সাপের কামড় খেয়ে এদিকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি হয় সলমন খানকে।
৬ ঘণ্টা ধরে চিকিৎসা চলে। অভিনেতাকে একাধিক অ্যান্টিভেনম দেওয়া হয়। এরপর হাসপাতাল থেকে ফেরার পরও দেখেন সাপটা ওই চত্বরেই রয়ে গিয়েছে। তারপর সলমন তাকে জঙ্গলের মধ্যে ছেড়ে দিয়ে আসেন। এখন আপাতত সুস্থই রয়েছেন। বাবা সেলিম খানকে ফোনে যখন সাপে কামড়ানোর খবরটা দিলেন অভিনেতা, পাল্টা তাঁর বাবা বলে বসেন, ওই সাপটা বেঁচে আছে তো? সলমন জানান, হ্যাঁ, "সাপ আর টাইগার দুজনেই ভাল আছে। ওকে কোনও আঘাত করা হয়নি। ভালবেসেই জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।" পাশাপাশি ওই সাপটির সঙ্গে নিজের নাকি একটি ছবিও তুলে রেখেছেন তিনি।
হাসপাতাল থেকে ফিরে মাঝরাতে পরিবার, বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে জন্মদিনও উদযাপন করেন সলমন খান। ধন্যবাদ জানান এমজিএম হাসপাতালের চিকিৎসকদের, পুলিশ কমিশনার বিপিন কুমার ও পালভেলের বিধায়ককেও ধন্যবাদ জানান সলমন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন