শুক্রবার বলিউড অভিনেতা সলমন খান যোধপুর নগর দায়রা আদালতে হাজিরা দিলেন না। ১৯৯৮ সালের দুটো কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় পাঁচ বছরের জন্য কারাবাসের সাজা হয়েছিল তাঁর। সে মামলাতেই আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা ভাইজানের। সলমন গরহাজির থাকার কারণে এদিনও পিছিয়ে গিয়েছে মামলার শুনানি।
আজ আদালতে না পৌঁছনোর কারণে যোধপুর নগর দায়রা আদালত ১৯ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেছে। সলমনের উকিল নিশান্ত বোরা বলেন, ওখানে হাজিরা দেওয়ার প্রয়োজন নেই এবং আদালতও এই বিষয়ে জোর দিয়ে কিছু বলেনি। যদিও সলমনের প্রাণনাশের হুমকির বিষয়টি আদালতে জানিয়ে রেখেছেন এবং সেখানকার আইনি নিরাপত্তার বিষয়টিতেও সংশয় প্রকাশ করেছেন। কারণ প্রতিবার আদালতে হাজিরা দেওয়ার সময়ে ঝামেলার সম্মুখীন হতে হয়েছে সল্লুভাইকে।
আরও পড়ুন, প্রাণনাশের হুমকি পেলেন সলমন
গত বছর ৫ এপ্রিল কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় বেকসুর খালাস পেয়ে যান সইফ, সোনালি, নীলম, তাব্বু ও দুষ্মন্ত সিং, এবং দোষী সাব্যস্ত হন সলমন খান। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের ৫১ নম্বর ধারা অনুযায়ী সলমনের ১০,০০০ টাকা জরিমানা ও পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেয় আদালত। অবশ্য যোধপুর সেন্ট্রাল জেলে স্রেফ দু’রাত্রি কাটানোর পর, ৫০ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেয়ে যান সলমন।
১৯৯৮ সালে যোধপুরের কঙ্কনি গ্রামে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিং চলাকালীন দু’টি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ ওঠে অভিনেতার বিরুদ্ধে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের আওতায় লুপ্তপ্রায় প্রজাতি হিসাবে কৃষ্ণসার হরিণের শিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ওই বছরই ২ অক্টোবর রাজস্থানের বিশনোই সম্প্রদায় সলমনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। উল্লেখ্য, কৃষ্ণসার হরিণকে প্রায় দেবতা জ্ঞানে পুজো করেন বিশনোই সম্প্রদায়ের সদস্যরা।