বন্ধুত্বের সম্পর্কটা অনেকটা অভ্যাসের মতো। বিশেষ করে স্কুল-কলেজ জীবনে বন্ধুত্ব হলে তাতে চিড় ধরানোটা মুশকিল। সে দু'দশক একে অন্যের সঙ্গে দেখা না হলেও। এরকমই তিন বন্ধুর কাহিনি 'সামসারা'। সংস্কৃত এই শব্দের অর্থ জীবনচক্র। ছবি মুক্তির আগে বন্ধুত্ব, সম্পর্ক ও অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বললেন ছবির অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী।
ক্রাইসিস না বন্ধুত্ব, সামসারা কীসের কথা বলে?
চিত্রনাট্যটা ভীষণই অন্যরকম। কোনও একটা নির্দিষ্ট ধারায় ছবিটাকে আটকে রাখা যাবে না। বন্ধুত্বের গল্প যেমন বলা যায়, আবার সাইকোলজিক্যাল থ্রিলারের উপাদানও রয়েছে। পাশাপাশি ট্র্যাভেল স্টোরি, তবে অন্য ট্র্যাভেলের গল্প থেকে আবার আলাদা। বলতে পারো ক্রস জঁরের (genre) ছবি।
পুরুষদের বন্ধুত্বের ছবি....
এটা খানিকটা সত্যি। আসলে তিন বন্ধুর দেখা হয় ১৮ বছর পরে। এরা স্কুল ও কলেজ দুটোই একসঙ্গে করেছে। প্রত্যেকের জীবনে নারীর উপস্থিতি রয়েছে, কিন্তু আরও অনেক বেশি কিছু ঘটে গিয়েছে ওদের জীবনে। মূলত, তিন বন্ধুরই ছবি, তাদের সঙ্গে জড়িত চরিত্রটা গল্পের প্রয়োজনে আসে যায়। সুতরাং, গল্পটা ছেলেদের বন্ধুত্বেরই, এটা এক্কেবারে সত্যি কথা (হাসি)।
'সামসারা' ছবির একটি দৃশ্যে ঋত্বিক, ইন্দ্রজিৎ ও রাহুল
এবড়ো-খেবড়ো রাস্তায় মোটরবাইকে বসার অভিজ্ঞতা কেমন?
দেখুন বাইক আমি চালাইনি, ইন্দ্রজিৎ চালিয়েছে। ও ভীষণ ভাল বাইক চালায়। লম্বা বাইক সিকোয়েন্সে, এমন একটা রাস্তা দিয়ে চালিয়েছে সেটা কোনও রাস্তাই নয়, যাকে বলে বন্ধুর পথ। তবে বাইকে তিন নম্বর মানুষ হয়ে বসে থাকার একটা যন্ত্রণা আছে (হাসি)। সেই যন্ত্রণা যেন কারও জীবনে না আসে, এটাই আমি চাইব!
আরও পড়ুন, বলিউড বায়োপিকে যিশু সেনগুপ্ত, বিপরীতে বিদ্যা বালান
সামসারার চরিত্রগুলোর মতো বন্ধু ঋত্বিক চক্রবর্তীর আছে?
এই তিন বন্ধুর মধ্যে ১৮ বছরের বিচ্ছিন্ন থাকার গল্প রয়েছে, আমার যারা কাছের বন্ধু তাদের সঙ্গে কখনও বিচ্ছিন্ন হইনি। সুতরাং, ছবির চিত্রনাট্যের সঙ্গে মিল নেই (হাসি)।
পরিচালক অভিজিৎ গুহর সঙ্গে ঋত্বিক। ছবি: ফেসবুক
আরও পড়ুন, ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষে তথ্যচিত্র তৈরি করছেন গৌতম ঘোষ
দুই পরিচালককে নিয়ে কিছু বলবেন?
রানাদা (অভিজিৎ গুহ) আর সুদেষ্ণাদির (সুদেষ্ণা রায়) সঙ্গে এটা আমার চার নম্বর ছবি, ফলে বুঝতেই পারছেন। কাজ করার সময়ে একে অপরের পরিপূরক হয়ে যান ওঁরা। রানাদা আবার রেগে গেলে সাধু ভাষায় কথা বলেন। লম্বা আউটডোর, সব মিলিয়ে বেশ মজাই হয়েছে।