ফের এক মর্মান্তিক খবর। প্রাক্তন মিস পুডুচেরি স্যান র্যাচেলের রহস্যমৃত্যু সম্পর্কে জানা যাচ্ছে। এবং, এই মানুষটি যিনি একসময় বর্ণবাদ নিয়ে নানা আলোচনা তুলেছিলেন, সেই মেয়েটাই আজ না ফেরার দেশে। ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি এক দারুণ নাম। তিনি ২৬ বছর বয়সে প্রয়াত। জানা যাচ্ছে তিনি নাকি নিজের জীবন নিজেই নিয়েছেন। কিন্তু কেন? সেই সম্পর্কে কি আদৌ কিছু জানা যাচ্ছে? রইল বিস্তারিত।
স্যান র্যাচল যার আগের নাম ছিল, শঙ্কর প্রিয়া - তিনি ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির বুকে দারুণ জনপ্রিয় ছিলেন। ২৬ বছর বয়সী এই মডেল কী কারণে এই ভয়ঙ্কর স্টেপ নিলেন, সেই নিয়েই এখন আলোচনা। এও জানা যাচ্ছে, ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর নাকি দারুণ লোকসান হয়েছিল, সেই কারণেই নাকি এই ভয়ঙ্কর পদক্ষেপ নিতে তিনি বাধ্য হয়েছিলেন। এবং এই ঘটনা ঘটেছে জওহরলাল ইনস্টিটিউট অফ পোস্ট গ্রাজুয়েট মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের বুকে। জানা যাচ্ছে আত্মহত্যা করেছেন তিনি।
অভিনেত্রী নাকি অনেকগুলি ঘুমের ওষুধ খেয়েছেন। এবং সেকারণেই আর বেঁচে থাকতে পারেননি। তাঁর জীবনে বাঁচার ধরন ছিল সাংঘাতিক। তাঁর মা অনেক অল্প বয়সেই মারা যান। এবং, খেয়াল করলে দেখা যাবে তাঁর গায়ের রঙের জন্য ছোট থেকে নানা কান্ড ঘটেছে তাঁকে নিয়ে। গায়ের রংকে পাত্তা না দিয়ে তিনি নিজের মডেলিং কেরিয়ার শুরু করেন। শুধু তাই নয়, তাঁর বাবা গান্ধী রীতিমতো তাঁকে বড় করছিলেন। এবং তিনি কোনোদিন পরোয়া করেননি তাঁর পোশাক এবং গায়ের রং নিয়ে নানা ধরনের কী সমস্যা হতে পারে। র্যাচেল, ফর্সা ত্বককে চ্যালেঞ্জ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
তিনি ২০১৯ সালে, মিস ডার্ক কুইন তামিলনাড়ু খেতাব জিতেছিলেন। পরবর্তীতে ২০২১ সালে মিস পুদুচেরি খেতাব অর্জন করেন। র্যাচেল, লন্ডন, জার্মানি এবং ফ্রান্সের আন্তর্জাতিক মডেলিং এর প্রতিযোগিতায় নাম লেখান এবং, সেখানেই ভারতের হয়ে তিনি প্রতিনিধিত্ব করেন। এবং নারী সুরক্ষার বিষয়টি নিয়েও তিনি আলোচনা করেন সেখানে। সঙ্গে সঙ্গেই কি মৃত্যু হয় তাঁর?
পুলিশ সূত্রে খবর, ৫ই জুলাই নাকি তিনি অনেকগুলি ঘুমের ওষুধ খেয়ে নিয়েছিলেন। তারপর তাঁর বাবা তাঁকে একটি সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তাঁকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়, সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। উদ্ধার করা একটি কথিত সুইসাইড নোটে লেখা আছে যে তার মৃত্যুর জন্য কাউকে দায়ী করা উচিত নয়। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।