প্রশ্ন: একজন মেয়ে হয়ে খুল্লামখুল্লা ভাললাগা বা ভালবাসার কথা বলতে ইতস্ততবোধ হয়নি?
সানজানা: না, আমার সেটা একেবারেই হয়নি। কারণ আমার মনে হয় যদি কাউকে ভাললাগে বা ভালবাসি সেটা সকলের সামনেই বলতে হয়। আমি তো বরের সামনেই অনির্বাণের কথা বলি। সেটার জন্য দুবার ভাবার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। যেটা মনে আছে সেটা মুখে প্রকাশ করাই শ্রেয়। এটার জন্য আলাদা করে সাহস জোগানের প্রয়োজন হয় না। এটা তো কোনও অন্যায় নয়।
প্রশ্ন: একজন বিবাহিত নারী যখন অন্য বিবাহিত পুরুষকে ভাললাগার কথা বলে তখন সেটা শ্রুতি মধুর?
সানজানা: একদমই শ্রুতিমধুর। কারণ ভাললাগার ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ, বিবাহিত-অবিবাহিত কোনও প্রশ্নই আসে না। আমার অনির্বাণকে ভাললাগে। সেটা আমি সকলের সামনে বলতে পারি। আমি ওঁর সঙ্গে কাজ করতে চাই। শুধু একটা সুযোগ চাই। আমি নিজে একজন মুক্তমনা। তাই আমার মনে এই ধরনের সংকীর্ণতা একেবারেই নেই।
প্রশ্ন: অনির্বাণের নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন? যদি অতিথি শিল্পী হিসেবে সুযোগ পান?
সানজানা: আমি শুধু স্ক্রিন শেয়ার করতে চাই। আর কিছু নয়। যদি অর্নিবাণের বিপরীতে নায়িকা হওয়ার সুযোগ পাই তাহলে তো কোনও কথাই নেই। তবে যদি কখনও ছোট চরিত্রেও কাজের সুযোগ আসে তাহলে সেটাও করব।
প্রশ্ন: অনির্বাণের প্রতি কেন এত প্রেম? কী দেখে এত মুগ্ধতা?
সানজানা: ওঁর সব কিছু আমার ভাল লাগে। অভিনয়, লেখা, নাটক, কবিতা সব কিছু। একজন বহুমুখী প্রতিভাসম্পন্ন শিল্পী। ভাল না লেগে উপায় আছে। উনি শুধু একজন ভাল অভিনেতাই নন, ভাল মনের মানুষ।
প্রশ্ন: অনির্বাণের কোনও নাটক দেখেছেন? শেষ ছবি কী দেখলেন?
সানজানা: না অনির্বাণের মঞ্চস্থ কোনও নাটক দেখার সুযোগ এখনও হয়নি। তবে সব সিনেমা-সিরিজ দেখি। শেষ দেখলাম 'পাঁচফোড়ন'। আমি কোনও কিছু মিস করি না।
প্রশ্ন: বর্তমানে যা পরিস্থিতি যদি বাংলার অভিনেতা অনির্বাণের সঙ্গে অভিনয়ের সুযোগটাই আর না আসে...
সানজানা: কোনও সমস্যা নেই। পাশাপাশি একটু বসতে পারলেই হবে। হাত ধরে খানিকক্ষণ বসব। মনে হবে চাঁদ ছুঁয়ে ফেললাম।
প্রশ্ন: অনির্বাণের থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পেলেন?
সানজানা: না, এখনও তো কোনও রিপ্লাই পাইনি। তবে যদি পাই সেটা আমার সৌভাগ্য। আমি তো তাহলে ভাবব স্বর্গ ছুঁয়ে ফেললাম। আমি একটা রিপ্লাইয়ের অপেক্ষায় আছি। যদি পাই...।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের নায়কদের নিয়ে এদেশে মাতামাতি। সেখানে তাঁদের ছেড়ে কেন অনির্বাণ?
সানজানা: কোনও মানুষকে যখন আমার পছন্দ হয় তখন আমি সেখানে কয়েকটা বিষয় দেখি। যেমন, সে কতটা ইন্টেলেকচুয়াল, শিক্ষাগত যোগ্যতা কী, সেটা শুধু পুঁথিগত বিদ্যা নয়, মানুষ হিসেবে সে কেমন। অনির্বাণকে দেখে মনে হয় একজন অত্যন্ত ভাল মানুষ। সেই জন্যই এই টানটা তৈরি হয়েছে।
প্রশ্ন: অনির্বাণের সঙ্গে কাজ করার যে স্বপ্ন তা পূরণ করতে যদি অনেক ধৈর্য ধরতে হয়...
সানজানা: আমার সেক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা নেই। গোটা জীবন অপেক্ষা করব। আমি সারা জীবন অনির্বাণের জন্য অপেক্ষা করতে রাজি। আমার পাসপোর্ট সংক্রান্ত একটু সমস্যা রয়েছে। এই মুহূর্তে তো ভিসা নিয়েও সমস্যা। তবুও আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব জানুয়ারির মধ্যে সবকিছু ঠিক করে ভারতে এসে অনির্বাণের সঙ্গে দেখা করব।