সঞ্জয় দত্তের জীবন সত্যিই সিনেমার মতোই ঘটনাবহুল। সবচেয়ে বিলাসবহুল জীবনও যেমন দেখেছেন আবার অকল্পনীয় অবস্থার মধ্যে দিয়েও যেতে হয়েছে তাঁকে। তেমনই একটা সময় ছিল সংশোধানাগারে কাটানো কয়েকটি বছর। ওই সময়েই সঞ্জয় আর পাঁচজন ইনমেটদের মতোই নানা ধরনের কাজ করতেন। সেই সময়েই খাম, ঠোঙা, কাগজের ব্যাগ বানাতে শেখেন সঞ্জয়। সম্প্রতি সেই কথা বলেছেন 'দ্য কপিল শর্মা শো'-তে।
সঞ্জয় দত্তের বায়োপিক 'সঞ্জু' যাঁরা দেখেছেন বা যাঁরা দেখেননি, তাঁরা মোটামুটি সকলেই জানেন যে একটা সময়ে সঞ্জয় দত্তকে সংশোধনাগারে থাকতে হয়েছে সাধারণ অপরাধীদের মতো। সেখানে ইনমেটদের নিয়মিত নানা ধরনের কাজ করতে হয়। প্রথমত, এই ধরনের কাজগুলি তাদের এক ধরনের কাউন্সেলিংয়ের কাজ করে। দ্বিতীয়ত, শাস্তির মেয়াদ কমাতেও সাহায্য করে। পাশাপাশি এই কাজগুলি করে সামান্য কিছু পারিশ্রমিকও পান ইনমেটরা যা তাঁরা বাড়িতে পাঠাতে পারেন বা সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পরে তাঁদের হাতে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: গা ছমছমে টিজার নিয়ে হাজির ‘গোস্ট স্টোরিজ’
সঞ্জয় দত্তকেও তেমনই কিছু কাজ করতে হতো যা তিনি সম্প্রতি 'দ্য কপিল শর্মা শো'-তে এসে জানান। ওই টেলিভিশন শোয়ে কপিল তাঁকে প্রশ্ন করেন যে সঞ্জু ছবিতে যে দেখা গিয়েছে রণবীর কাপুর জেলে বসে খাম তৈরি করছেন, এটা কি সত্যিই তাঁর জীবনে ঘটেছিল। এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কপিল এই সব কাজ শিখতে আমার অনেক দিন সময় লেগেছিল। আসলে জেলে প্রত্যেককেই কিছু না কিছু করতে হয়। কোনও অজুহাত খাটে না। আমাদের জেল টার্ম যদি একটু কমে তার জন্যেও আমরা কাজ করতাম। একটা খাম বানাতে পারলে ১০ পয়সা করে পাওয়া যেত।
এর পরে কপিল তাঁকে প্রশ্ন করেন যৎসামান্য যা টাকা পেতেন সঞ্জয় ওই কাজটি করে, সেই টাকা দিয়ে তিনি কী করতেন। সঞ্জয় এর উত্তরে জানান যে ওই টাকা দিয়ে তিনি রাখি উৎসবের সময় বোনেদের উপহার পাঠাতেন। নিঃসন্দেহে একটি মর্মস্পর্শী ঘটনা। অচিরেই এই এপিসোডটির সম্প্রচার হবে সোনি টিভিতে।