/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/08/sanjay-2025-09-08-12-56-47.jpg)
যা হয়েছিল তাঁর সঙ্গে...
বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় দত্তের জীবন কেবল সাফল্যেই ভরা নয়, ভরপুর ক্লাইম্যক্সেও। কিংবদন্তি অভিনেতা সুনীল দত্ত ও নার্গিসের সন্তান হওয়া সত্ত্বেও, অল্প বয়সেই বাবা-মাকে হারানোর কষ্ট এবং ১৯৯৩ সালের মুম্বাই বিস্ফোরণ মামলায় জেলযাত্রা- সবই তাঁর জীবনের অংশ। সম্প্রতি দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো-তে এসে তিনি খোলামেলা জানালেন কারাগারের ভেতরের দিনগুলির অভিজ্ঞতা।
সঞ্জয় বলেন, "আমার জীবনে যা কিছু হয়েছে তার জন্য আমি অনুতপ্ত নই। একমাত্র দুঃখ- আমার বাবা-মা আমাকে খুব তাড়াতাড়ি ছেড়ে গিয়েছেন। আমি তাঁদের ভীষণ মিস করি।"
শোতে অর্চনা পুরান সিং জানতে চান, 'জেলে কাঠমিস্ত্রির কাজ করে বানানো আসবাবের কী হতো?' উত্তরে সঞ্জয় বলেন, "আমি সেখানে মজুরি পেতাম। কখনও চেয়ার বানাতাম, কখনও কাগজের ব্যাগ। সেই টাকা দিয়ে চলতাম। পরে আমি ‘রেডিও ওয়াইসিপি’ নামে একটি রেডিও স্টেশনও শুরু করেছিলাম, যা শুধু জেলের ভেতরেই শোনা যেত। সেখানে আমি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করতাম, নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা, কমেডি শো- সবই হতো। বন্দিদের মধ্যে কয়েকজন স্ক্রিপ্টও লিখত।”
Govinda-Sunita: ৪০ বছরের দাম্পত্য, এত বয়সেও শুধরাচ্ছেন না অভিনেতা! স্বামীর পরকীয়া নিয়ে মুখ খুললেন স্ত্রী...
তিনি আরও জানান, জেলের ভেতরে তিনি একটি থিয়েটার গ্রুপও গড়ে তোলেন, যেখানে তিনি পরিচালক এবং খুনের আসামিরা ছিলেন তাঁর অভিনেতা।
এছাড়াও তিনি এক ভয়ঙ্কর ঘটনার কথাও শোনান। একদিন সুপারিনটেনডেন্ট তাঁর দাড়ি কামাতে বলেন এবং সেই দায়িত্ব দেওয়া হয় এক বন্দিকে। "তার নাম ছিল মিশ্রজি। ক্ষুর নিয়ে যখন আমার গলার কাছে পৌঁছাল, আমি জিজ্ঞেস করলাম কত বছর ধরে সে জেলে আছে। সে জানাল ১৫ বছর। আবার জিজ্ঞেস করলাম অপরাধ কী? সে বলল, ‘দ্বৈত খুন’। তখনই আমি তাড়াতাড়ি তার হাত ধরে থামালাম। ভাবুন, একজন দ্বিগুণ খুনের আসামি ক্ষুর হাতে আমার গলায়! জেলের ভেতরে এ-ও ছিল একেবারে সাধারণ দিনের ঘটনা।"