বাংলাদেশ থেকে এপারে এসেছিলেন তিনি। তখন বয়স দুই কি তিন। কলকাতা দেখার শখ ছিল সাংঘাতিক। স্টিমারে করেই এসেছিলেন শহর দেখতে। তারপর ভাগ্যক্রমে ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম লিডিং হিরোইন হয়ে উঠেছিলেন তিনি। প্রসঙ্গে সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়।
ইচ্ছে ছিল কাননবালা হবেন। স্কুলে পড়তেন সেই থেকেই শুরু থিয়েটারের। তারপর একে একে সুপার সব ছবি। উত্তম থেকে সৌমিত্র তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন সকলে। উত্তম কুমার একবার জানিয়েছিলেন, ওর সঙ্গে শট দিতে গেলে রীতিমতো ভাবতে হয়। এত সাফল্য, আজও কাজ করছেন চুটিয়ে কিন্তু নিজের বাস্তবের জীবনে বড্ড নিঃসঙ্গ তিনি। বিয়ে কেন করলেন না? রিয়ালিটি শোয়ের মঞ্চে যা মজার কথা বললেন...
আরও পড়ুন < ‘পড়ে থাক গণতন্ত্রের লাশ, রাজনৈতিক শিবিরে..’, ভোট আবহে ‘আগুন’ বাংলা! ধিক্কার ঋদ্ধি সেনের >
সাবিত্রীর নব্বইয়ের কাছাকাছি বয়স। যেমন সুন্দর দেখতে ছিলেন একসময় তেমনই ছিল গুন। কিন্তু বিয়ের পিঁড়িতে বসা হয়ে ওঠেনি কিংবদন্তির। তিনি মজার ছলেই জানান, যখনই প্রেম করতে গিয়েছেন দেখেছেন তাঁর একটা বউ আছে। কখনও খালি কাউকে পাননি তিনি। জীবনের এটাই একটা আক্ষেপ। বলেই হেসে ফেলেন। এমনকি এও বলেন, আজও যদি পারি তো বিয়ে করব। এই বয়সেও ভয়ঙ্কর স্পিরিট। একবিন্দু কাজ ছেড়ে নেই।
আরও পড়ুন < গায়ে আঁটছিল না জার্মানদের বড় জামা, অতঃপর ছোটদের জামা কিনেই ফিরে আসেন রবি ঘোষ! >
সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়কে জীবন্ত কিংবদন্তি বললেও কম বলা হবে। সিরিয়াল সিনেমা সবেতেই কাজ করছেন আজও, সকলের সঙ্গে সমানতালে। তাঁর জন্মদিনে, আজও মহা ধুমধামে আয়োজন করা হয় সবকিছুর। অভিনেত্রী বলেন, "আমি লং ফ্রক পড়ি জন্মদিনে। আমায় কি সুন্দর লাগে দেখতে।"