/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/06/lead-78.jpg)
সায়ক চক্রবর্তী ও শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্য়ায়। ছবি: ফেসবুক পেজ থেকে
Srabanti Chatterjee, Sayak Chakraborty, Bengali Television: সায়ক চক্রবর্তী বাংলা টেলিভিশন জগতের অত্যন্ত পরিচিত অভিনেতা। প্রায় তিন বছর ধরেই 'মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য়' ধারাবাহিকে শ্রীকৃষ্ণ চরিত্রে তাঁকে দেখছেন দর্শক। এছাড়া এই মুহূর্তে 'করুণাময়ী রাণী রাসমণি' ধারাবাহিকেও একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন। বিগত চার-পাঁচ বছর ধরেই তিনি নিয়মিত কাজ করছেন টেলিজগতে। কিন্তু ৮ বছর আগে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় যখন শুটিং করছিলেন 'ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দে রে' ছবির, তখন ওই ছবিরই একটি সং সিকোয়েন্সে জুনিয়র আর্টিস্ট ছিলেন সায়ক আর সেদিন খুব ইচ্ছে সত্ত্বেও একটা ছবি তোলার সুযোগ হয়নি নায়িকার সঙ্গে। ইচ্ছাপূরণ হল সম্প্রতি।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/06/inside1-10.jpg)
''২০১১ সালে যখন শ্রাবন্তী ও সোহমের 'ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দে রে' ছবির শুটিং চলছিল আমি তখন জুনিয়র আর্টিস্ট ছিলাম। ২০০৮ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত আমি জুনিয়র আর্টিস্ট হিসেবেই কাজ করেছি। ওই ছবির একটা সং সিকোয়েন্স ছিল-- 'ও মনের সেলফোন'। ওই গানের দৃশ্যে অনেক জুনিয়র আর্টিস্টকে নেওয়া হয়েছিল'', বলে চলেন সায়ক, ''আমি জানতাম শ্রাবন্তীদির সং সিকোয়েন্স। ভেবেছিলাম একটা ছবি তুলব শ্রাবন্তীদির সঙ্গে। তখন ক্য়ামেরা ফোনের অনেক দাম ছিল। তাই এক বন্ধুর থেকে ছোট স্টিল ক্য়ামেরা একটা ধার করে নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু ছবি তোলা হয়নি, তুলতে পারিনি।''
আরও পড়ুন: শুরুতেই সৌদামিনীর সিক্সার, তৃতীয় স্থানে ‘বকুলকথা’
ইন্ডাস্ট্রিতে জুনিয়র আর্টিস্টদের ঠিক কী চোখে দেখা হয়, সেটা আগে না জানলেও ইদানীং কালে বহু দর্শকই জানেন কারণ এই বিষয়ে সংবাদমাধ্য়মে বেশ কিছু লেখালেখি হয়েছে। কিছু বাংলা ও বলিউড ছবিতেও এই ধরনের চরিত্র দেখেছেন দর্শক। সেখানে বিনোদন জগতের এই শ্রেণিবিভাজনকে বেশ স্পষ্ট করে বোঝানো হয়েছে। একজন জুনিয়র আর্টিস্ট ইচ্ছা করলেই নায়ক বা নায়িকার কাছাকাছি যেতে পারেন না। ছবি তোলা তো অনেক দূরের ব্য়াপার।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/06/inside2-5.jpg)
তাই ৮ বছর আগে সায়ক চক্রবর্তীর ইচ্ছাপূরণ হয়নি। কিন্তু ঘটনাটা নিঃসন্দেহে দাগ কেটে গিয়েছিল তাঁর মনে। তাই সম্প্রতি যখন শ্রাবন্তীর সঙ্গে ভিগো অ্যাপের একটি বিশেষ ভিডিও শুটের জন্য় নির্বাচন করা হল সায়ককে তখন একটা বৃত্ত সম্পূর্ণ হল বলা যায়। ''এই অবধি আসতে অনেক লড়াই করতে হয়েছে। ইন্ডাস্ট্রিতে আমার পরিচিত কেউ ছিল না। ৮ বছর আগে সেদিন আমার খুব খারাপ লেগেছিল। ভেবেছিলাম, আমাকে কেউ শ্রাবন্তীদি অবধি যেতে দিল না তো, একদিন আমায় ডাকবে শ্রাবন্তীদির সঙ্গে শুট করতে... এটা হয়তো কোনও অ্যাচিভমেন্ট নয় কিন্তু ভিগো-র এই শুটটা আমার কাছে খুব স্পেশাল'', জানালেন সায়ক।
আরও পড়ুন: তিন নারীর গল্প নিয়ে ছবি ‘তিন কন্য়া’
এই ভিডিওটি দেখা যাবে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্য়ায়ের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে। ভিডিওর লিঙ্কটি শেয়ার করেছেন তিনি সায়ক চক্রবর্তীর ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলটি ট্য়াগ করে। নিঃসন্দেহে সায়কের পেশাগত জীবনে এটা কোনও অ্য়াচিভমেন্ট নয়, কিন্তু শূন্য় থেকে যে লড়াইটা শুরু করেছিলেন, সেটা যে তাঁকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে, তার একটা ছোট্ট নিদর্শন এই ঘটনাটি।