অবশেষে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন সলমন খান। শেষ পর্যন্ত সবরকম ঝঞ্ঝাট সামলে আগামী মাসের ৫ তারিখে মুক্তি পাচ্ছে ‘লাভরাত্রী’, থুড়ি ‘লাভযাত্রী’। একথাই জানিয়ে দেওয়া হল দেশের সর্বোচ্চ আদালতের তরফে। সলমন খান ভেঞ্চারস প্রাইভেট লিমিটেডের এ ছবি ঘিরে যে আর কোনও জটিলতা রইল না তা এদিনের সুপ্রিম কোর্টের রায়েই স্পষ্ট হল। দেশের শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, ‘লাভযাত্রী’ ছবির প্রযোজক সংস্থার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন নেই।
এদিকে ‘লাভযাত্রী’ সিনেমা হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই বিহারে এ নিয়ে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। গুজরাতের ভাদোদরায় একটি মামলাও ঝুলছে। তবে সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, এসব সত্ত্বেও অক্টোবর মাসের ৫ তারিখ এ ছবি মুক্তি পাবে। উল্লেখ্য, প্রথমে ছবির নাম ছিল ‘লাভরাত্রী’। নবরাত্রীর সঙ্গে ছবির নামের মিল থাকায় তা হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। পরবর্তী সময়ে ছবির নাম ‘লাভরাত্রী’ থেকে ‘লাভযাত্রী’ করা হয়। কিন্তু তবুও বিতর্ক পিছু ছাড়ে না।
আরও পড়ুন, বিহার হাইকোর্টের আদেশে এফআইআর দায়ের টিম লাভরাত্রীর বিরুদ্ধে
বিহার হাইকোর্টে এই ছবির নামে (লাভরাত্রী) আপত্তি জানিয়ে ভারতীয় দন্ডবিধির ২৯৫, ২৯৮, ১৫৩, ১৫৩বি এবং ১২০বি ধারায় মামলা দায়ের করা হয় সলমন খান ও প্রযোজক সংস্থার বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পরই টুইট করে সলমন খান জানিয়েছিলেন যে, প্রথম নাম নিয়ে গোষ্ঠিগত সমস্যা থাকায় নিজের প্রযোজিত ছবির নাম ‘লাভরাত্রি’ থেকে ‘লাভযাত্রী’ করা হয়েছে। নতুন নামও গ্রহণযোগ্য নয়, এই আর্জি জানিয়ে গত বুধবারই এক হিন্দু গোষ্ঠী গুজরাত হাইকোর্টে আর্জি জানায়। সনাতন ফাউন্ডেশন গত সপ্তাহেই একটি জনস্বার্থ মামলা করে দাবি জানায় যে, ছবির নাম ও কিছু দৃশ্য বদলাতে হবে, তা না হলে হিন্দু ধর্মাবেগে আঘাত করার জন্য ছবিটি নিষিদ্ধ করা হবে।
শেষমেশ সুপ্রিম কোর্টের নয়া নির্দেশে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন টিম ‘লাভযাত্রী’। এ ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় দেখা যাবে সলমন খানের ভগ্নিপতি আয়ুষ শর্মা এবং নবাগতা ওয়ারিনা হুসেনকে।