সিনিয়র অফিসিয়াল সূত্রের খবর, শুক্রবার উত্তরাখন্ডের সাতটি জেলায় কেদারনাথের স্ক্রিনিং ব্যান করেছে হিন্দু সংগঠন। এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) অশোক কুমার শুক্রবার পিটিআইকে জানায়, এলাকার বর্তমান পরিস্থিতিকে নজরে রেখে জেলাশাসক কর্তৃক এই সিন্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ওই সাতটি জেলায় হিন্দু সংগঠনগুলি ছবির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায় ও ছবির নির্মাতাদের কুশপুত্তলিকা জ্বালায়। ফলে ছবির স্ক্রিনিং বাধ্য হয়েই ব্যান করতে হয়। দেরাদুন, হরিদ্বার, নৈনিতাল, উধম সিং নগর, পাউরি, তেহরি ও আলমোরা- এই সমস্ত অঞ্চলে দেখানো হবে না কেদারনাথ।
আরও পড়ুন, যৌন হেনস্থার অভিযোগে গ্রেফতার মিকা সিং
সঙ্গতভাবে বলতে গেলে, সারা আলি খানের ডেবিউ ছবি যেখানে তিনি একজন হিন্দু মেয়ে ভূমিকায় যে এক মুসলিম ছেলের প্রেমে পড়ে, সেই চরিত্রে রয়েছেন সুশান্ত সিং রাজপুত,এই ছবিটাই তো হওয়ার উচিৎ। মক্কু অর্থাৎ মন্দাকিনী ও মনসুরের মধ্যে চমৎকার বন্ধুত্ব, তাদের দেখা করা থেকে সবটাই ভীষণ মিষ্টি, প্রাণবন্ত। এক পুরোহিতের (ভরদ্বাজ)অত্যন্ত জেদী ছোট মেয়ে, যে তার মনমরা বড় বোনের পাশে রয়েছে শক্ত পিলারের মতো। এদিকে মনসুর একজন ‘পিঠাউ’ (যে তীর্থযাত্রীদের পিঠে করে মন্দির দর্শনে নিয়ে যায়) যে মুক্কুর চোখে ধরা পড়ে ও শেষমেষ প্রেমেও। ভালই চলছিল, কিন্তু শীঘ্রই মেলোড্রামা গ্রাস করে তাদের, চিত্রনাট্য একঘেয়েমি সামনে নিয়ে আসে এবং তারপরে যে ট্রিটমেন্ট শুরু হয়ে সেটা ষাট-সত্তরের দশকে হত। বাবা সদর্পে হুমকি দিচ্ছে, মা ঘরে বন্ধ করে রাখছে মেয়েকে, গ্রামের লোক জড়ো করে গরীব নায়কে মারা হচ্ছে এইসব।
নৈনিতাল ও উধম সিং নগরের জেলাশাসক বৃহস্পতিবার এই ব্যান কার্যকরী করেন। ২০১৩য় উত্তরাখন্ডের বন্যার প্রেক্ষাপটে তৈরি এই ছবিতে যেহেতু এক মুসলিম ছেলে ও হিন্দু মেয়ের মধ্যে প্রেম দেখানো হয়েছে। তাই এই ছবি নাকি হিন্দু ধর্মাবেগকে আঘাত করে লাভ জিহাদ প্রচার করছে কেদারনাথ, এই অভিযোগেই ব্যান করা হয়েছে এই ছবি। ছবির মুখ্য চরিত্রে রয়েছে সারা আলি খান ও সুশান্ত সিং রাজপুত।
Read the full story in English