বাংলা টেলিভিশনের এই সময়ের সেরা ধারাবাহিকগুলির অন্যতম 'সৌদামিনীর সংসার'। এই নির্ভেজাল পারিবারিক কমেডির মেকিং যেমন প্রশংসনীয়, তেমনই ভাল অভিনয়। পুরোটাই সম্পর্কের গল্প কিন্তু তার মধ্যেও চিত্রনাট্যকারেরা পরিমিত টুইস্ট ও সাসপেন্স রেখে চলেন।
বালিকা বধূ সৌদামিনীই যে যাত্রার মঞ্চ কাঁপিয়ে চলেছে, তা জানে না তার বালক স্বামী। এমনিতে তার সদুকে মোটেই পছন্দ নয় কিন্তু যাত্রালক্ষ্মীর প্রেমে সে পাগল। তাই সৌদামিনী এখন আর এক নয়, হয়েছে দুই-- যাত্রালক্ষ্মী ও গৃহলক্ষ্মী।
আরও পড়ুন: দোল পূর্ণিমায় শ্রীমা-গৌরব তিরুমালা মন্দিরে
মাঝেমধ্যেই এমন পরিস্থিতি হয়েছে যে প্রায় ধরা পড়ে গিয়েছে সে কিন্তু কোনওমতে সামলে নিয়েছে। কিন্তু এবার মহাসঙ্কট। সৌদামিনীর স্বামী শঙ্কর পণ করেছে যে যাত্রালক্ষ্মীকে না পেলে সে বৈরাগী হয়ে সংসার ত্যাগ করবে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে তাই বড়দা কথা দিয়ে ফেলেছে শঙ্করকে যে সে যা চায় তাই সে পাবে। শঙ্কর কথা আদায় করে নিয়ে মহাখুশি। বুদ্ধিমতী সৌদামিনীর কিন্তু মুখ শুকিয়ে গিয়েছে। তাকে ঠিক কী বলেছে শঙ্কর তা দেখে নিতে পারেন সাম্প্রতিক প্রোমোতে--
যেই যাত্রালক্ষ্মী সেই তো শঙ্করের সদু, কোন্দল বাড়ির গৃহলক্ষ্মী সৌদামিনী। তাই একই সঙ্গে দুই লক্ষ্মী তো আর আসতে পারবে না শঙ্করের সামনে। ঠিক যেমনটা ঘটেছিল অমোল পালেকর অভিনীত গোলমাল-এ। এবার কি তবে দোলের দিন সব সত্যি কথা বলে দিতে হবে শঙ্করকে?
কিন্তু সৌদামিনীই যে লুকিয়ে যাত্রা করতে যায়, সেকথা তো আর পরিবারের সবাই জানে না। পর্দাফাঁস হলে কী বিপদটাই না অপেক্ষা করছে সদুর জন্য। এমন মজার একটি মোড় আসতে চলেছে এই ধারাবাহিকে। বেশ টান টান উত্তেজনা কিন্তু মজার উত্তেজনা। এই সপ্তাহের এপিসোডগুলিতেই শঙ্করের জ্ঞানচক্ষু উন্মীলিত হতে পারে।