স্ত্রী যখন শাবানা আজমী, তখন তাঁর প্রশংসা না করে পারা যায়? কিন্তু, জাভেদ আখতার যিনি কোটি কোটি রোমান্টিক গানের লাইন খুব সাবলীল ভাবেই লিখে ফেলেন, তিনি নাকি শাবানাকে আবেগী শব্দের মাধ্যমে একেবারেই প্রশংসা করতে পারেন না। এমনটাই জানিয়েছিলেন এক পুরস্কারের মঞ্চে। আর, এবার যখন ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে প্রকাশ্যে পর্দায় চুমু খেলেন তখন...
রকি এবং রানি ছবিতে, ধর্মেন্দ্র এবং শাবানার চুম্বন দৃশ্য নিয়ে জোর চর্চা। ভারতীয় সিনেমায় সবসময় রাখঢাক, এমনকি বয়সের রেখা যত ওপরের দিকে, তত নির্দিষ্ট বেড়াজালে অভিনেতাদের ফেলে দেওয়া হলেও শাবানা এবং ধর্মেন্দ্র সঙ্গে অবশ্যই নির্মাতা করণ জোহর এক নিদারুণ সাহসের পরিচয় দিলেন। কিন্তু, জাভেদ আখতার নিজে? স্ত্রীকে এই বয়সে অন্য অভিনেতাকে চুমু খেতে দেখে তাঁর কী মতামত?
আরও পড়ুন < ‘নতুন বার্বি নাকি?’ গোলাপি পোশাকে মুখ্যমন্ত্রী! হাঁ হয়ে তাকিয়ে রয়েছেন শ্রীলেখা >
শাবানা আজমি চিরকালই বেশ অন্যধরনের অভিনয়ের জন্য বিখ্যাত। এই ছবিতে আলিয়ার ঠাকুমার চরিত্রে তাঁকে দেখা গিয়েছে। শাবানা বলেন, "আমি দেখেছিলাম হলের ভেতরে সবাই আমাদের চুম্বন দৃশ্য দেখে হাততালি দিচ্ছে। সকলেই বাহবা দিয়েছে। তাছাড়া ধর্মেন্দ্রর মত একজন পুরুষকে চুম্বনের সুযোগ হাতছাড়া করা যায়..?" কিন্তু জাভেদ? তথাকথিত প্রেম লেখেন তিনি। তাঁর কি একটুও ঈর্ষা অথবা অস্বস্তি হয়নি স্ত্রীকে চুমু খেতে দেখে? জাভেদ সাফ জানান, "অস্বস্তি নয়, বরং বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না যে শাবানা এত আত্মবিশ্বাসী। পর্দার শাবানার সঙ্গে পাশে বসে থাকা স্ত্রী শাবানার মধ্যে বিরাট ফারাক দেখতে পাচ্ছিলেন তিনি।"
প্রসঙ্গত, করণের এই ছবি বেজায় মনে ধরেছে দর্শকদের। বিশেষ করে টোটা রায়চৌধুরীর এই চরিত্র নিয়ে করণ নানা এক্সপেরিমেন্ট করেছেন। এবং তিনি এতে সফল। পরিবারের মধ্যে যে এক অদ্ভুত বন্ধন রয়েছে সেকথা আবারও প্রমাণ করলেন পরিচালক।