জাভেদ আখতারের (Javed Akhtar) প্রপিতামহ ফজল-ই-হক খয়রাবাড়ি যিনি কিনা প্রকৃতপক্ষে একজন স্বাধীনতা যোদ্ধা ছিলেন, তাঁর সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায়। যার জেরে ক্ষেপে আগুন বলিউডের প্রবাদপ্রতীম গীতিকার তথা লেখক। প্রতিবাদে মুখর অভিনেত্রী তথা জাভেদের স্ত্রী শাবানা আজমীও (Shabana Azmi)।
সমস্যার সূত্রপাত জাভেদেরই এক টুইটকে ঘিরে। দিন কয়েক আগেই এক ওয়েবসাইটে ব্যবহৃত ছবি নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন বলিউডের বিশিষ্ট গীতিকার। যেখানে কিনা অনুমতি ছাড়াই একশো জন মুসলিম মহিলার ছবি ছাপা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, কুরুচিকর শব্দপ্রয়োগ করে সেই মহিলাদের নিলামে তোলার কথাও উল্লেখ ছিল সেখানে। আর সেই প্রেক্ষিতেই ওই ওয়েবসাইটের সমালোচনায় মুখর হন জাভেদ। তারপরই নেটমাধ্যমে বলিউড গীতিকারের উদ্দেশে ধেয়ে আসে একাধিক আক্রমণবাণ। তবে ট্রোলকে পাত্তা না দিলেও জাভেদ-শাবানা হতবাক হয়ে যান জনৈক ব্যক্তির টুইট দেখে, যেখানে জাভেদ আখতারের প্রপিতামহকে দেশের গদ্দার হিসেবে আক্রমণ করা হয়।
জনৈক ব্যক্তি টুইটে লেখেন, "জাভেদ আখতারের প্রপিতামহ মৌলানা ফজল-ই-হক খয়রাবাড়ি ১৮৫৫ সালে হনুমান গড়ি মন্দির ভাঙার নেপথ্যে ছিলেন। ব্রিটিশরাই মুসলিমদের হাত থেকে সেই মন্দির রক্ষা করেন।" এরপর আর চুপ থাকতে পারেননি প্রবীণ বলিউড তারকাদম্পতি।
<আরও পড়ুন: কলকাতায় হু-হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ! কতটা সতর্ক টলিপাড়া?>
জাভেদ আখতার ও শাবানা আজমি, দুজনেই ওই কুরুচিকর টুইটের পাল্টা জবাব দেন। শাবানা লেখেন, "এটা সর্বৈব মিথ্যা। ফজল হক একজন স্বাধীনতা যোদ্ধা ছিলেন। যাঁকে কালা পানিতে পাঠিয়েছিল ব্রিটিশরাই। আন্দামানে তাঁর মৃত্যু হয়। আর আজও প্রকৃত হিরো হিসেবে তাঁর কবর শায়িত আছে। আপনি যদি ওঁর সম্পর্কে আরও কিছু জানতে চান, তাহলে বাঘি হিন্দুস্তানি পড়ে ফেলুন।"
অগ্নিশর্মা জাভেদের মন্তব্য, "আমি ওই ওয়েবসাইটের কুরুচিকর ছবি নিয়ে আপত্তি তোলার পরই কিছু মূর্খ আমার পূর্বপুরুষদের আক্রমণ করা শুরু করেছে। যিনি কিনা ১৮৬৪ সালে কালাপানিতে মৃত্যুবরণ করেছেন। এই সমস্ত অর্বাচীনদের আর কী-ই বা বলার আছে!"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন