তিনি ভারতের আইকন। তাঁকে দেখে লড়াইয়ের অনুপ্রেরণা পান কোটি কোটি যুবসমাজ। শাহরুখ খানকে নিজের আইডল মেনেই অনেকে জীবনে এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। শাহরুখ বেশ অনেকবার মুখোমুখি হয়েছিলেন বাংলার সুপারস্টার দেবের সঙ্গে।
দেবকে সামনে পেতেই কী উপদেশ দিয়েছিলেন কিং খান। শাহরুখ, যিনি জীবনের এত অধ্যায় দেখেছেন, মানুষ দেখেছেন। তিনি দেবকে বেশ কিছু উপদেশ দিয়েছিলেন। তবে, শুধু অভিনেতা দেবকে না, বরং সাংসদ দেবকে। কী এমন বলেছিলেন শাহরুখ? অনেকবছর চেনেন তিনি দেবকে। ছোট ভাইয়ের মতো মানুষটিকে শাহরুখ বলেছিলেন...
“আমার রাজনীতি নিয়ে কিছু জানা নেই। আমি বুঝি না রাজনীতি। কিন্তু তোমরা যারা পরিচিত মুখ, যাদের এত মানুষ ভালবাসেন, তাঁর সঙ্গে এত অল্প বয়স এটা তোমরা অবশ্যই করো। একটা কথা, মনে রাখবে সিনেমায় যে ধরনের চরিত্র করো না কেন, পজেটিভ কিংবা নেগেটিভ, সেটা সিনেমা। কিন্তু, রাজনীতির পরখ যদি হয়ে থাকে, তবে নিশ্চই সেটাকে ভাল দিকে ব্যবহার করো। কোনও চাপ নেই, আমি ভালবেসে বললাম। আমার মনে হয়, মানুষকে ভাল কথা শেখানোর খুব প্রয়োজন। যারা তোমার সিনেমা দেখে, তোমায় খুব ভালবাসে। তাঁদের নিজের রাজনীতির ভাষায় ভাল কথা শিখিও।”
এখানেই থামলেন না তিনি। বরং দেব যিনি তখন সদ্য সদ্য সাংসদ। তিনি তখন, মন দিয়ে সবটা শুনছিলেন। শাহরুখ আরও বললেন, কেন বলছি বলতো? এযুগের যুব সমাজের কাছে এই বিষয়টা খুব জানা দরকার যে কীভাবে ভালভাবে একটা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। এটা খুব জরুরি। আর সেটাই যদি, একজন এমন মানুষ যিনি খুব জনপ্রিয়, তাঁদেরকে বোঝান তবে কিন্তু খুব ভাল।
শাহরুখ এই আক্ষেপ পর্যন্ত করেন, যে তিনি রাজনীতি যেহেতু বোঝেন না, তাই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার, যুব সমাজকে অনুপ্রাণিত করার মতো বার্তা তিনি দিতে পারেন না। যে কারণে, এইসব বিষয় থেকে তিনি দূরে থাকেন। যদিও, বা দেবের কাছে সবই আলাদা। সিনেমা থেকে রাজনীতি - দেব দুটি দিক আলাদা রাখেন। রাজনীতির প্রচারের সময় তিনি একদম সেদিকেই নজর রাখেন।
উল্লেখ্য, শাহরুখ খান এমন একজন ব্যক্তি যিনি বলিউডের একজন স্বনামধন্য মানুষ হওয়ার পরেও তিনি রাজনীতি থেকে দূরে থাকেন। অনেকবার তাঁকে অফার করার পরেও তিনি এসব নিজের জীবনে রাখেন না।