বছর চারেক পর্দার আড়ালে থেকে কম কটাক্ষ, সমালোচনা শুনতে হয়নি! সমাজ মাধ্যমের পাতায় ঠাট্টা-টিটকিরি লেগেই ছিল শাহরুখ খানকে নিয়ে। তবে দাঁতে দাঁত চেপে ময়দানে নীরবে ব্যাটিং করে গিয়েছিলেন তিনি। যার ফলস্বরূপ 'পাঠান'-এর মার্কসিটে সুপারহিট নম্বর। অতিমারী উত্তর পর্বে বলিউডের ব্যবসা ঘুরিয়ে দিয়েছেন। তাঁকে হিন্দি সিনেইন্ডাস্ট্রির 'গেম চেঞ্জার' বললেও অত্যুক্তি হয় না! আর এই 'পাঠান'-এর জন্য প্রযোজনা সংস্থা যশরাজের তরফে কোনও পারিশ্রমিক-ই নেননি।
১০০০ কোটির মাইলস্টোন ছুঁয়ে বিশ্বের বক্সঅফিসে রেকর্ড গড়েছে 'পাঠান'। ভারত তো বটেই বরং প্রতিবেশী দেশ ছাড়িয়ে পশ্চিমী দেশেও কিং খানের কামব্যাক নিয়ে অনুরাগীদের উত্তেজনা ছিল দেখার মতো। অতিমারী উত্তর পর্বে যেখানে দক্ষিণী সিনেমার বাজারে হিন্দি সিনে ইন্ডাস্ট্রি ধুঁকতে বসেছিল, সেখানে একাই বাজিমাত করে দেখিয়েছেন 'পাঠান' শাহরুখ খান। বছর চারেক বাদে পর্দায় প্রত্যাবর্তন করে পঞ্চাশোর্ধ্ব বলিউড কিং দেখিয়েছেন যে- একেই বলে রাজার মতো সিংহাসনে প্রত্যাবর্তন। আর যে সিনেমা নিয়ে কিনা এত্ত শোরগোল সেই ছবির জন্য প্রযোজনা সংস্থার তরফে কোনও পারিশ্রমিকই নিলেন না শাহরুখ!
বিষয়টা আসলে একটু অন্যরকম। 'পাঠান' তৈরি করতে যশরাজের খরচা হয়েছে ২৭০ কোটি টাকা, সেই ছবিই গোটা বিশ্বে আয় করে ফেলেছে ১০৫০.৩ কোটি টাকা। সেই হিসেব মিলিয়ে প্রযোজনা সংস্থার মোট লাভ প্রায় ৩৩৩ কোটি টাকা। আর এখানেই শাহরুখ খেলা ঘুরিয়ে দিয়েছেন! সুপারস্টার অভিনেতা হিসেবে তাঁর পারিশ্রমিক না নিয়ে মূল লাভের ৬০ শতাংশ দাবি করেছিলেন। পেয়েওছেন। যার মানে দাঁড়ায় 'পাঠান' থেকে শাহরুখ খান একাই আয় করেছেন ২০০ কোটি টাকা।
<আরও পড়ুন: বাবা সিদ্দিকির ইফতারে ভাইরাল শাহরুখ-সলমনের কোলাকুলি, হাজির ঋতাভরীও>
বক্সঅফিস রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত থেকে 'পাঠান'-এর মোট আয় ৫৪৫ কোটি এবং আন্তর্জাতিক ময়দানে ৩৯৬.০২ কোটি টাকা। সেখান থেকে ভারতীয় সিনে ডিস্ট্রিবিউটাররা ২৪৫ কোটি টাকা নিয়েছেন এবং আন্তর্জাতিক ডিস্ট্রিবিউটারদের খাতে গিয়েছে ১৭৮ কোটি টাকা। পাশাপাশি, 'পাঠান'-এর স্যাটেলাইট এবং ডিজিটাল স্বত্বও বিক্রি হয়েছে মারাত্মক চড়া দামেয প্রায় ১৫০ কোটি টাকায়। অন্যদিকে শুধু মিউজিক স্বত্ব থেকে আয় হয়েছে ৩০ কোটি টাকা। কোটি কোটি টাকার এই ব্যবসায় শাহরুখ খানের মোট আয় হয়েছে ২০০ কোটি টাকা।