বছরের পয়লা দিনেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা! নতুন বছরটাই দেখতে পারলেন না। ভয়ঙ্কর গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল অঞ্জলি সিংয়ের। এদিকে পরিবারের একমাত্র রোজগেরের মৃত্যুতে প্রায় দিশেহারা তাঁর পরিবার। পাঁচ ভাই-বোন। কিডনির অসুখে জর্জরিত বৃদ্ধা মা। এত বড় সংসারে একমাত্র রোজগেরে ছিলেন বছর কুড়ির মেয়েটি। অনেক দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে। কিন্তু তাঁর মৃত্যুতেই যেন অথৈ জলে পড়ল পরিবার। আর সেই প্রেক্ষিতেই অঞ্জলির পরিবারের সেই দুঃখ ঘোচাতে মসিহা হয়ে এলেন শাহরুখ খান (Shah Rukh Khan)।
শাহরুখের মীর ফাউন্ডেশনের তরফেই অঞ্জলির পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করা হল। পর্দায় চার বছর পর ফিরছেন বাদশা। প্রত্যাবর্তনের আগেই বিতর্ক তুঙ্গে। পদবীর জন্যই বারবার কটাক্ষের শিকার হয়েছেন কিং খান। তবে দুঃস্থদের বিপদে-আপদে কখনও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে ভোলেননি। অতিমারীর সময়ে তো বটেই এমনকী দেশে যে কোনও রাজ্যে যখনই কোনও দুর্যোগে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন মানুষ, তখনই মসিহার মতো এগিয়ে এসেছেন। এবার দিল্লির প্রয়াত তরুণী অঞ্জলি সিংয়ের পরিবারের পাশেও দাঁড়ালেন।
প্রসঙ্গত, অ্যাসিড আক্রান্তদের পাশেও খাকেন শাহরুখ খান। এবার বাদশার মীর ফাউন্ডেশনের তরফে আর্থিক সাহায্য করা হল দিল্লির ওই দুঃস্থ পরিবারকে। ঘনিষ্ঠ সূত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছে, অঞ্জলির মায়ের চিকিৎসার খরচও বহন করবেন কিং খানের সংশ্লিষ্ট ফাউন্ডেশন। দিল্লির রাজপথে নৃশংস দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানোর পর কীভাবে অঞ্জলির সংসার চলবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিল অঞ্জলির পরিবার। জানতে পেরে এগিয়ে এলেন শাহরুখ খান।
<আরও পড়ুন: ‘১ লাখের সানগ্লাস ছাড়া পরি-ই না..’ নাক উঁচু করণ জোহরের কথা শুনে ট্রোলের বন্যা>
প্রসঙ্গত, পয়লা জানুয়ারি ভোররাতে স্কুটি চালিয়ে বাড়ি থেকে কাজে যাওয়ার সময় একটি গাড়ি ধাক্কা মারে। সেই গাড়িতে তখন ছিল পাঁচ যুবক। ধাক্কা খেয়ে ছিটকে পড়ে অঞ্জলি এবং তাঁর স্কুটি। কিন্তু গাড়ি তাঁকে পিষে দেওয়ার পর দেহ টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যায় প্রায় ১০ কিমি। নৃশংস এই ঘটনায় দিল্লি-সহ গোটা দেশ শিউরে উঠেছে।
অঞ্জলির মৃত্যু অনেক প্রশ্নের সামনে দাঁড় করিয়েছে তাঁর পরিবারকে। অঞ্জলির বাবা ৮-৯ বছর আগেই প্রয়াত হয়েছেন। পরিবারের হাল টানতে দশম শ্রেণির পরই স্কুল ছাড়ে অঞ্জলি। একটি সাঁলোতে কাজ নিয়েছিলেন। তার পর বিয়ের অনুষ্ঠানে কনে সাজানো, মেক-আপের কাজ করতেন অঞ্জলি। ৫০০-১০০০ টাকা প্রতিদিন রোজগার হত তাঁর। মাসে ১০-১৫ হাজার কামাত। তার রোজগারেই চলত গোটা পরিবার। অঞ্জলির মৃত্যুর পর চার ভাইবোনের কীভাবে চলবে ভেবে দিসেহারা হয়ে পড়েছিলেন মা রেখা। সেই দুঃস্থ পরিবারের পাশেই এবার ঈশ্বরের দূতের মতো এসে দাঁডডাল শাহরুখ খানের মীর ফাউন্ডেশন।