রানি মুখোপাধ্যায় এবং শাহরুখ এর রসায়ন কতটা ভাল এই নিয়ে কোনও প্রশ্নই থাকে না। কুছ কুছ হোতা হ্যায় থেকে শুরু বন্ধুত্ব কিন্তু এখানেই শেষ না। তারপর একের পর এক নানান ছবি এবং দিনের পর দিন সেই বন্ধুত্ব গাঢ় হয়েছে। কিন্তু একটি ছবির ক্ষেত্রেই এই দুই বন্ধুর মধ্যে এই দৃশ্য উপস্থাপন করতে গিয়েই ফ্যাসাদে পড়েছিলেন করণ জোহর।
২০০৬ সালের ছবি 'কভি অলবিদা না কেহেনা' ছবিতে এক অন্তরঙ্গ দৃশ্য দেখানোর প্রসঙ্গেই একরকম আদিত্য চোপড়ার সঙ্গে বাদানুবাদ লেগে যায় করণ জোহরের। করণ এই ছবির প্রয়োজনেই চেয়েছিলেন ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের আর তাতেই রেগে আগুন হয়ে গিয়েছিলেন আদিত্য চোপড়া। তখন আদি এবং রানীর সম্পর্ক চর্চায়, শাহরুখের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বও ছিল সাংঘাতিক। তাই তো, করণের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছিলেন না আদিত্য। প্রেমের গল্প কিন্তু একেবারে ভিন্ন ধরনের বুনট ছিল শাহরুখ এবং রানির 'কভি অলবিদা না কেহেনা' ছবির ক্ষেত্রে।
আরও পড়ুন < মাঝরাতে বেডরুমে এ কি কাণ্ড! ইন্দ্রনীলের লাফালাফিতে দৌড় দিলেন শ্রীমা? >
পরিণত প্রেমে ঘনিষ্ঠতা দেখানো খুব স্বাভাবিক। তাই করণ এমনটাই চেয়েছিলেন। করণকে রীতিমতো সাবধান করছিলেন আদিত্য চোপড়া। কম করে, ঘন্টাখানেক চলে বচসা! করণের সঙ্গে ঝগড়ায় লিপ্ত হন আদিত্য। যে শাহরুখ এবং রানিকে একদম ভিন্ন নজরে দেখেছেন সকলে, এই ঘনিষ্ঠতা মেনে নেবেন কিনা, সেই নিয়েও ঘোর সন্দেহ ছিল আদিত্যর। কিন্তু করণও নাছোড়বান্দা! সোজা প্রশ্ন করেন, যেখানে বা যেই সম্পর্কে ভালবাসা আছে সেখানে ঘনিষ্ঠতা থাকবে না কেন?
যদিও এই সিদ্ধান্তে পরে বদল এনেছিলেন করণ। বুঝেছিলেন, বেশি কিছু করা যাবে না। তাই তো, অত্যধিক কিছু ভাবনা চিন্তা মাথা থেকে বের করে দিয়েছিলেন তিনি। ছবির প্রয়োজনে যেটুকু দরকার সেটুকুই রেখেছিলেন করণ। রানি মুখোপাধ্যায় এবং শাহরুখের এই কেমিস্ট্রি মন কেড়েছিল দর্শকদের। যদিও বিতর্কও হয়েছিল খুব। এরপর দুজনকে সেইভাবে আর কোনওছবিতে দেখা যায় নি। কিন্তু বেশ কিছু ছবি যে আবার মাইলস্টোন সৃষ্টি করেছিল সেকথা বলাই যায়।