জীবনে একাধিক ছবি, এত সাফল্য তারসঙ্গে অনুরাগীদের ভালবাসা - সবমিলিয়ে শাহরুখ হওয়ার ইচ্ছে থাকলেও এই রাস্তা কিন্তু খুব কঠিন। সাফল্যের পথে হাজারো চরাই-উৎরাই, তবে লক্ষ্য ছিল স্থির। কিছুদিন আগেই জন্মদিন পালনের পর উড়ে গিয়েছিলেন দুবাই। সেখানেই জীবনের নানান পর্যায়ের উল্লেখ করলেন কিং খান।
মা বাবার বেশ কাছের ছিলেন শাহরুখ। আর এখনও তথাকথিত ফ্যামেলি ম্যান হিসেবে তাঁর যথেষ্ট নাম রয়েছে। ছেলেমেয়ের সঙ্গে মাঝে মধ্যেই সময় কাটাতে তাঁকে দেখা যায়। বিশেষ করে ছোট ছেলে আব্রাম তাঁর ভীষণ কাছের। ছেলেমেয়েকে বড় করতে কোনও খামতি রাখেননি তিনি। তাই তো, দুবাইতে গিয়ে নিজের প্রশংসা না করে পারলেন না। ছেলেমেয়েকে যে ভাবে বড় করেছেন গর্ববোধ হয় শাহরুখের?
শারজাহতে কথোপকথনের সময় শাহরুখ বলেন, "আমার মা যদি এখন আমায় দেখত একটাই কথা বলত, তুই এত রোগা হয়ে গিয়েছিস কেন? গাল গুলো ঢুকে গেছে, এরকম লাগছে কেন?" শুধু তাই নয় এই যে সাফল্য তাতেও গর্ববোধ করতেন কিং খানের বাবা মা। বললেন, "আমি এটাকে সাফল্য বলছি জানি না সেটা ঠিক কিনা। তবে হ্যাঁ, যেভাবে আমি আমার ছেলেমেয়েদের বড় করেছি ওঁরা গর্ব করত"।
আরও পড়ুন < বিমানবন্দরে ‘আটক’ শাহরুখ, লক্ষ লক্ষ টাকা জরিমানা দিলেন কিং খান >
প্রসঙ্গত, আরিয়ান খানের গ্রেফতারির পর থেকে শাহরুখের দিকে আঙুল তুলেছিলেন অনেকেই। কী শিক্ষায় ছেলেকে বড় করেছেন সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। তবে, সেদিনের সেই দুশ্চিন্তার রাতগুলো হাজারো অভিযোগ সহ্য করেই কাটিয়েছিলেন তিনি। সরকারি আধিকারিকদের তরফেও জানা গিয়েছিল, আরিয়ান ওরকম মানসিক চাপেও যেরকম শান্ত ছিলেন তা প্রশংসার যোগ্য। এক মুহূর্তও খারাপ ব্যবহার করেননি কারওর সঙ্গে।
এদিকে, আজ সকাল হতেই দুবাই ফিরছিলেন শাহরুখ। ব্যাগ থেকে লক্ষ টাকার ঘড়ির বক্স উদ্ধার হতেই তাঁকে আটক করে এয়ার ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। তবে জরিমানা দিতেই ছাড়াও পান কিং খান।