বলিউডে একটা সময় নায়কে-নায়কে রেষারেষি ছিল প্রবল। বিগত ১০ বছরে যদিও বলিউড সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছে। এখন প্রত্যেকেই প্রত্যেকের কাজ নিয়ে কথা বলেন, সোশাল মিডিয়ায় পরস্পরকে বাহবা দেন। শাহরুখ খান ও সলমন খানের মধ্যে ভাল বন্ধুত্ব ছিল মোটামুটি নব্বই দশক থেকেই কিন্তু ২০০৮ সালে সেই বন্ধুত্বে ছেদ পড়ে। একটি সাক্ষাৎকারে শাহরুখ বলেন যে তার মূল কারণ হল তিনি কিছুতেই সরি বলতে পারেন না।
শাহরুখ খান অনেক সময়েই রাখঢাক করেন না সংবাদমাধ্যমের সামনে। ২০০৮ সালে যখন দুই খানের মধ্যে বিবাদ তুঙ্গে তখন সেটাও সংবাদমাধ্যমের সামনে আসে। প্রায় ৫ বছর দুই তারকার মধ্যে কথাবার্তা বন্ধ ছিল। এমনকী কোনও ইভেন্টে দুজন দুজনের সঙ্গে সৌজন্যসূচক ব্যবহারটাও করতেন না। এই পর্যায়েই একবার একটি সাক্ষাৎকারে শাহরুখকে প্রশ্ন করা হয়।
আরও পড়ুন: হেলেনের সঙ্গে পালিয়েই যেতাম: আশা ভোঁসলে
২০১১ সালের একটি প্রেস কনফারেন্সে শাহরুখ স্বীকার করেন যে তিনি বন্ধুত্ব রাখতে পারেন না। সলমনের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব নষ্ট হওয়ার একটা বড় কারণ ছিল এটাই যে শাহরুখ সলমনকে সরি বলতে পারেননি। এই একই কথা তিনি আবার বলেন 'কফি উইথ করণ'-এর সিজন থ্রি-তে এসে। সেখানে সলমনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে শাহরুখ বলেন--
''যদি কেউ আমাকে অপছন্দ করে তাহলে আমি তাকে দোষ দিই না। কারণ সেটা তাঁদের জন্য নয়, সবটাই আমার জন্য। যদি সলমনের আমাকে নিয়ে সমস্যা হয়, তবে তার জন্য ১০০ শতাংশ দায়ী আমি। যদি ফারাহ-র আমাকে নিয়ে সমস্যা হয়, তবে নিশ্চয়ই আমি কোনওভাবে তাকে দুঃখ দিয়েছি.... আমার খুব বিষণ্ণ লাগে কাউকে আঘাত দিয়ে থাকলে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল, কীভাবে সরি বলতে হয় তা জানা থাকলেও, আমি কিছুতেই সেটা বলে উঠতে পারি না। আর সেটা অন্য কারও দোষ নয়। আমি কোনও পুরনো বন্ধুকে জড়িয়ে ধরে বলতে পারি না যে ফিরে এসো। আমি আমার বাবা-মায়ের সঙ্গেও সেটা করে উঠতে পারিনি... সলমন যদি আমার কারণে বিরক্ত হয়ে থাকে, তবে সেটা ওর দিক থেকে ও ঠিক... যদি আমি ফোনটা তুলে একবার সরি বলতে পারতাম। কীভাবে সরি বলতে হয় আমি জানি না, আর নতুন করে শেখার জন্য বয়সটা অনেক বেড়ে গিয়েছে।''
২০১০ সালেও সলমন একবার প্রকাশ্য়ে বলেছিলেন-- ''একমাত্র ঈশ্বরই পারেন আমাদের বন্ধুত্ব ফিরিয়ে দিতে কিন্তু সেটা ঘটছে না।'' দুই তারকার মধ্যে এই মনোমালিন্য অবশ্য তার পরে খুব বেশি সময় থাকেনি। ২০১৩ সালের একটি ইফতার পার্টিতে দুই তারকার মিটমাট হয়। তার পর থেকে অবশ্য আর তেমন কিছু ঘটেছে বলে শোনা যায়নি।