অভিনেতা সিদ্ধার্থের মৃত্যু যেমন নাড়া দিয়েছে অনুরাগী মহলে তেমনই বন্ধু সিদ্ধার্থের মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না কাছের মানুষরা। তার সহকর্মী থেকে প্রিয়জন মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন অনেকেই। মৃত্যুশোক সইতে না পেরে হাসপাতালে ভর্তি তাঁর কাছের বন্ধু জসলিন মাথারু। বেশ কয়েকদিন ধরেই সিদ্ধার্থের হঠাৎ চলে যাওয়ায় মানসিকভাবে ভুগছিলেন তিনি।
শেহনাজের সঙ্গে জসলিনের বন্ধুত্ব হয়েছিল 'মুঝসে শাদি কারোগে'র ফ্লোরে। বেশ অল্পদিনেই দুজনে কাছের বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন। সেই কারণেই সিদ্ধার্থের অকাল প্রয়াণে শেহনাজের এরম অবস্থা দেখে সহ্য করতে পারেননি তিনি। বন্ধুকে দেখে একরকম ভেঙ্গে পড়েন জসলিন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেন, "শেহনাজ নিজের মধ্যেই নেই। হঠাৎ এই ঘটনাটি তাঁকে এত আঘাত দিয়েছে আদৌ চারদিকে কী ঘটছে সেই সম্পর্কে একেবারেই চেতনা নেই তাঁর। আগের সেই প্রাণোচ্ছ্বল শেহনাজ হারিয়ে গেছে মনে হচ্ছে। আমি ওর কাছে যাওয়াতেই বসতে বলেছিল পাশে। ভীষণ ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। যদিও সিদ্ধার্থের বোন এবং মা যথেষ্ট চেষ্টা করছিলেন শক্ত থাকার।" তার এই বক্তব্যের পরেই সোশাল মিডিয়ায় গোলমাল শুরু হয়। তাকে নিয়ে ট্রোল করতে শুরু করেন সাধারণ মানুষ। এমনকী কেউ কেউ এমনও বলেন, আপনিও মরে যান। এসব দেখে-শুনে এতটাই মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছেন যে অসুস্থ বোধ করতে থাকেন জসলিন। এরপরই ভীষণ জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।
<আরও পড়ুন: ‘বিগ বস’ OTT-তে সিদ্ধার্থ শুক্লাকে বিশেষ শ্রদ্ধার্ঘ্য, কেঁদে ফেললেন করণ জোহর, দেখুন ভিডিও>
সবসময় হাসি খুশি মনের মেয়ে শেহনাজ নিজের মধ্যেই নেই। আর হওয়ারই কথা, সিদ্ধার্থকে ভীষণ ভালোবাসতেন কিনা। জসলিন জানান, এটাই কি আদৌ সময় ছিল তাঁর চলে যাওয়ার? সিদ্ধার্থর মা এবং শেহনাজের সঙ্গে দেখা করে আসার পর থেকেই মনে হয়েছে দুটো মানুষই যেন প্রাণহীন শরীর। তবে নিজের শরীর সম্পর্কেও জানিয়েছন জসলিন। এখন একটু ভালও আছেন তিনি। সাধারণ মানুষদের উদ্দেশ্যে আর্জি জানিয়েছেন " প্রার্থনা করুন যেন আমি সুস্থ হয়ে যাই।"
সহকর্মী থেকে অনুরাগীরা অনেকেই পৌঁছেছিলেন সিদ্ধার্থ শুক্লার শেষযাত্রায়। চোখে জল মনে একরাশ নালিশ রেখেই বিদায় জানিয়েছেন প্রিয় বন্ধুকে। সোমবার সন্ধ্যায় তাঁর পরিবারের তরফ থেকে আয়োজন করা হয়েছে এক স্মরণসভার।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন