'মেঘালয়ের একটি গ্রাম' থেকে আসা মা-মেয়ে জুটি তাদের হাতে বোনা ফ্যাব্রিক ব্র্যান্ড এরিওয়েভকে শার্ক ট্যাঙ্ক ইন্ডিয়ায় নিয়ে এসেছিলেন। এটি শোয়ের চতুর্থ মরসুমের সবচেয়ে সংবেদনশীল পিচ হিসাবে জায়গা পেয়েছে। প্রতিষ্ঠাতারা শার্ক প্যানেলকে বলেছিলেন যে তাদের লক্ষ্য একটি মৃতপ্রায় ঐতিহ্যকে পুনরুজ্জীবিত করা যা মায়ের কাছ থেকে তাদের মেয়েদের কাছে বংশ পরম্পরায় হস্তান্তরিত হয়। এবং এর পাশাপাশি তারা স্থানীয় মহিলাদের নিজেদের জীবিকা নির্বাহের জন্য ক্ষমতায়ন করতে চায়। মা আইশা 'শার্কদের' বলেছিলেন যে তিনি ২০ বছর বয়সে বিয়ে করেছিলেন এবং কঠিন সম্পর্ক ছেড়ে বেড়িয়ে এসে আর্থিকভাবে লড়াই করেছিলেন।
তিনি জানান, অতিরিক্ত পরিশ্রম করে চার মেয়েকে তিনি একাই বড় করেছেন। সেই মহিলা, একজন শিক্ষক হিসাবে কাজ করেন এবং তার অবসর সময়ে ব্যবসার দিকে নজর দেন। কিন্তু তিনি জানান যে ৩৫ লক্ষ টাকা ঋণ শোধ করতেও তাঁকে হিমশিম খেতে হচ্ছে, কারণ তাঁদের উপার্জিত প্রতিটি টাকা তাঁদের সঙ্গে কাজ করা কারিগরদের দেওয়া হয় এবং তা দিয়ে ঋণ শোধ করা হয়। মেয়েদের ভরণপোষণের জন্য তাঁত বুনে বাড়তি আয়ের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন..."আমি ১০০ টাকার মূল্য বুঝি।"
আইশা বলেছিলেন যে তিনি কীভাবে কোনও ওয়েবসাইট সেট আপ করবেন এবং অ্যামাজনে তার পণ্যগুলি তালিকাভুক্ত করবেন তা জানেন না। বিনীতা সিং এই সমস্যাগুলিতে তাকে সহায়তা করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কথা দিয়েছিলেন, "যে মুহূর্তে আপনি আপনার ওয়েবসাইট সেট আপ করবেন, আপনি দুই দিনে ২০ লক্ষ টাকা উপার্জন করবেন। দর্শকরা আপনার পণ্যগুলি কেনার আগ্রহ প্রকাশ করবে।"
পীযূষ বনশল এই কাপড়ের প্রশংসা করে বলেন, স্কার্ফ পরার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি উষ্ণতা অনুভব করেছেন। কিন্তু তিনি বিনিয়োগ না করায় বিনীতার সঙ্গে চুক্তি থেকে সরে আসেন। আমন গুপ্তাও পিছু হটেছেন পন্যের ক্ষেত্রে। তবে প্রতিষ্ঠাতারা তাকে যে স্কার্ফটি উপহার দিয়েছিলেন তার মানের প্রশংসা করেছেন। মেঘালয়ের সেই মহিলা বলেন, "আমরা যেভাবে সুতা উত্তোলন করি সেটা খুব নমনীয়। আমরা রেশম পোকা মারতে পারি না"...এটুকু শোনার পরেই সার্করা অনেকেই নড়েচড়ে বসলেন।
সার্ক নমিতা থাপার বলেন, "আমি এই ব্যবসায় বিনিয়োগ করছি না, তাই আমি আউট কিন্তু সার্ক হিসাবে আমাদের একটা দায়িত্ব আছে। আজকের পর্বটি অনেক নারীর কাছেই উদাহরণ হয়ে থাকবে। আপনি অনেক নারীর কাছে রোল মডেল। আমরা একসঙ্গে অ্যামাজন তৈরি করব। আপনি যা চেয়েছেন তা আমি আপনাকে দিতে যাচ্ছি, কারণ আমি চাই আপনার মতো লোকেরা বাকি দেশকে দেখিয়ে দিক যে ছোট গ্রাম থেকে অনেক কিছু ঘটতে পারে এবং দেশের মহিলারা অনেক কিছু করতে পারে।"