অনু-রণর গল্প অদ্ভুত একটা মোড়ে দাঁড়িয়ে এখন। একদিকে অনুর (শার্লি মোদক) সঙ্গে রণর (সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়) বিচ্ছেদ আর ঠিক সেই সময়েই অনুর জীবনে নীলাভর (রাজা গোস্বামী)-র এসে পড়া-- সব মিলিয়ে অনুর কাছে বর্তমান ও ভবিষ্যত, দুটিই অস্পষ্ট। এমন নয় যে নীলাভর সঙ্গে রোমান্টিক কোনও সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছে অনু কিন্তু রণর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের সম্ভাবনাও পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
কালারস বাংলা-র ধারাবাহিক 'চিরদিনই আমি যে তোমার'-এর গল্পটা এই মুহূর্তে এমনই একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে। পরিবারের সকলের প্ররোচনায় অনুকে ডিভোর্স দেওয়ার পথে এখন রণ। যদিও সেখানেও একটি ষড়যন্ত্রের শিকার অনু-রণ। একটি ব্ল্যাঙ্ক পেপারে রণকে দিয়ে সই করিয়ে নেওয়া হয়েছিল তার অসুস্থতার সময়ে।
আরও পড়ুন: ‘ডিস্কো ডান্সার ২.০’ নিয়ে আসছেন টাইগার
ওই সই ব্যবহার করেই অনুকে পাঠানো হয়েছে ডিভোর্স নোটিস। বাধ্য হয়ে তাই শ্বশুরবাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে হয়েছিল অনুকে। একটি মিশনারি স্কুলে চাকরি নেয় সে আর ওখানেই পরিচয় হয় নীলাভর মেয়ে মিষ্টুর সঙ্গে। মা-কে হারিয়ে দিশাহারা মিষ্টু অনুর মধ্যেই খুঁজে পায় নির্ভরতা। মিষ্টুর ঠাকুমার অনুরোধে ছোট মেয়েটির ব্যক্তিগত গভর্নেস হতে রাজি হয়ে যায় অনুু। নীলাভর বাড়িতে থাকতে শুরু করে সে আর সেখানেই বার বার সংঘাত হয় নীলাভর সঙ্গে।
ধারাবাহিকের সেটে ২০০ পর্বের সেলিব্রেশন। ছবি: কালারস বাংলা
কেন বার বার মায়ের প্রসঙ্গ উঠলেই চুপ করিয়ে দেওয়া হয় মেয়েকে। ঠিক কী ঘটেছিল মিষ্টুর মায়ের সঙ্গে, একদিকে যখন সেই রহস্য উন্মোচনের তাগিদ নাড়া দেয় অনুকে, অন্যদিকে তেমনই তার ব্যক্তিগত জীবনে ওঠে ঝড়। রণ-র সঙ্গে তো আর পুরোপুরি মানসিক বিচ্ছেদ হয়নি তার। তাই বিবাহবিচ্ছেদের কথা সে ভাবতেই পারে না। অথচ রণ তাকে ডিভোর্সের নোটিস পাঠিয়ে বসে রয়েছে।
২০০ এপিসোডে গল্পটা মোটামুটি এই জায়গায় এসে পৌঁছেছে। অনুর ভবিষ্যৎ এই মুহূর্তে পুরোপুরি অনিশ্চিত। গত ২৯ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে এই ধারাবাহিক কালারস বাংলায়। সন্ধ্যা সাড়ে ছটার এই ধারাবাহিকটি সম্প্রচার হয় সোম থেকে শনি। কালারস বাংলা-র সবচেয়ে জনপ্রিয় অনুষ্ঠানগুলির মধ্যে অন্যতম এই ধারাবাহিক।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন