বয়সের সিঁড়িতে দু'জনের বছর দশের বিভেদ। তবে বন্ধুত্ব কি আর বয়স, ধর্ম, জাতি দেখে হয়? আর দু'জনেই যখন একই ইন্ডাস্ট্রির মানুষ তখন এই বন্ধুত্ব হওয়ারই ছিল। এত বছর পর ক্যামেরার সামনে একসঙ্গে বলিউডের দুই সুপারস্টার ধর্মেন্দ্র (Dharmendra) এবং শত্রুঘ্ন সিনহা (Shatrughan Sinha)। কমেডিয়ান কপিল শর্মার শোতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দু'জনে। পুরনো দিনের স্মৃতি-আনন্দ ক্রমশই উস্কে দিয়েছেন কপিল। আর দুই পুরনো বন্ধুও মজেছেন উল্লাসে। স্মৃতি রোমন্থন করে শত্রুঘ্ন জানান, সাহায্য চেয়েছিলেন ধর্মেন্দ্রর কাছে। কি হয়েছিল সেদিন ?
কিছুদিন হল 'দ্য কপিল শর্মা শো'র নয়া মরসুম শুরু হয়েছে। এর সর্বশেষ পর্বে অতিথি ছিলেন এই দুই প্রবীণ অভিনেতা। বারবার নানান কথার মাধ্যমে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন চিরসবুজ বন্ধুত্বের সম্পর্ক। দু'জনেই আজও একই আছেন তাদের কথার মাধ্যমেই প্রকাশ পেয়েছে।বন্ধু মানে শুধুই কি ঘনিষ্ঠতা আর নিদারুণ সম্পর্ক? এত দিনের বন্ধুত্ব যখন দু'জনেই এক ইঞ্চিও ছাড়েননি পরস্পরের লেগ পুলিং করতে। এই বয়সেও দুজনের এই স্পিরিট সত্যিই দেখার মতো। কপিল নিজেও যথেষ্ট উপভোগ করেছেন শোয়ের প্রতিটা মুহূর্ত।
প্রসঙ্গত শত্রুঘ্ন জানান, প্রথমবার 'শোর মচ গয়া শোর'-এর শুটিং এর সময় যখন তাঁকে প্রকাশ্যে নাচতে বলা হয়, তিনি ভীষণ চিন্তায় পড়েছিলেন। এর আগে কখনও করেননি এমন কিছু। শত শত লোকের ভিড়ে তিনি এগিয়ে যান ধর্মেন্দ্রর কাছে সাহায্যের জন্য। গিয়েছেন যখন খালি হাতে ফেরেননি, ভাতৃসম বন্ধু শত্রুঘ্নকে সেদিন কী উপদেশ দিয়েছিলেন তিনি জানেন? "আমি যা করেছি, তুমিও তাই করো। একটু মদ্যপান করে নাও।" হ্যাঁ, শত্রুঘ্নকে মদ্যপানের পরামর্শ দিয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র।
আরও পড়ুন: অশ্লীলতার সীমা ছাড়ালেন নিক-প্রিয়াঙ্কা! প্রকাশ্যে ‘ধুয়ে দিলেন’ বোন পরিণীতি
সম্পূর্ণ শো জুড়ে দুই বন্ধুর রসিকতার এর অন্ত নেই। আর তার সঙ্গে অমায়িক প্রশংসা। শত্রুঘ্ন সিনহার মন্তব্যে ধর্মেন্দ্র নাকি 'ইশক কা বাদশা' অর্থাৎ প্রেমের সম্রাট! কম যান না বলিউডের বীরুও। সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা জবাব দিয়ে বলেন, "তাহলে ও আমার বীরবল, আমায় সব কথা বলে শত্রুঘ্ন।" ধর্মেন্দ্রর নাম,যশ, খ্যাতি, সুদর্শন চেহারা এবং স্ত্রী হেমা মালিনীর প্রতি চিরন্তন প্রেম প্রসঙ্গ ওঠার পরেই ধর্মেন্দ্র হেসে শত্রুঘ্নর উদ্দেশে বলেন, "ভীষণ দুষ্টু হয়ে গেছে ও।"
শোতে হাজার স্মৃতির ভিরে উঠে আসে পুরনো দিনের নানান ছবি এবং তাদের কর্মজীবনের নানান মুহূর্ত। প্রয়াত অভিনেতা দিলীপ কুমারের সঙ্গে একটি ছবি অনেক স্মৃতি ভিড় করে আনে শত্রুঘ্ন সিনহার মনে। তিনি আবেগতাড়িত হয়ে বলেন, দিলীপ কুমারকে দেখার পরেই নাকি অভিনেতা হওয়ার ইচ্ছে হয়েছিল তাঁর। পরে একটি কবিতা আবৃত্তি করেন স্বর্গীয় দিলীপ সাহেবের উদ্দেশ্যে, বলার অপেক্ষা রাখে না যথেষ্ট সাধুবাদ দিয়েছেন ফ্লোরে উপস্থিত প্রত্যেকেই। ইমোশন, বন্ধুত্ব, প্রেমে- এককথায় জমে উঠেছিল শো।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন